যশোরের শার্শায় নির্বাচনী তান্ডবের পর ঘর ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা
আগামি ২৮ শে নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আসন্ন এ ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোরের শার্শা উপজেলার ৫নং পুটখালী ইউনিয়ানের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিরের সমার্থকদের উপর অসংখ্য নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
২২শে নভেম্বর পুটখালী ইউনিয়ানে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো ইউনিয়ান থেকে প্রায় কয়েকশত পরিবার নির্বাচনি সহিংসতার শিকার হয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন।
শিবনাথপুর বারপোতা গ্রামের সালাউদ্দিনের পুত্র রুবেল হোসেন বলেন, ২০শে নভেম্বর ১২:৩০ মিনিটে মিজান, ঘেনা, আমিনুর, শামীম, মিলন সহ ১০-১২ জন আমার বাড়িতে গিয়ে আমার বউকে হুমকি দেয় আমি কেন নৌকার বিপক্ষে ভোট করছি, এজন্য তারা আমাকে দেখে নেবে। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে খোরশেদের ছেলে মিলন আমার ৯ মাস বয়সের শিশু কন্যাকে হাত ধরে টেনে হেঁচড়ে বাইরে ফেলে দেয়। আমার নিষ্পাপ শিশু কন্যাটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার মা এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও কোন অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
বালুন্ডা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র ইমান আলী বলেন, আমি আনারস প্রতীকের নির্বাচন করায় দলীয় নৌকা প্রতীকের গফ্ফার চেয়ারম্যানের ৪০-৫০ জন কর্মী আমার বাড়িতে গিয়ে নানা হুমকি ধামকি সহ ভাংচুর করে। আমি বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি জীবনের ভয়ে।
৩নং ওয়ার্ড খলশী গ্রামের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফুটবল প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আনারসের সমার্থন করায় আমার নির্বাচনি অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে সহ আমার কয়েকজন সমার্থকে মারপিট করা হয়। আমি একজন মেম্বার প্রার্থী হওয়া সত্তেও আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে নৌকার সমার্থকরা। আমি কোন সহিংসতা চাইনা, একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
পুটখালী গ্রামের পারভিন সুলতানা বলেন, আমরা কয়েকজন মহিলা কর্মী নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে বারপোতা গেলে গফ্ফারের সমার্থক বদি, কামরুল, সত্তার, ইয়ার আলী সহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। আমার কোন রকমে পলায়ন করে রাত্র আটটায় বাসায় ফিরি। আমি চাই এসব গায়ের শক্তি বাদ দিয়ে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন হোক।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির হোসেন বলেন, আমি জনগণের ভালবাসায় নির্বাচন করছি কিন্তু ক্ষমতার জোরে গফ্ফার আমার সমার্থকের উপর নানা রকম হামলা সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে। আমার ৫০০ কর্মী হামলা মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি প্রশাসন এবং সরকারের নিকট একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবী জানায়, যাতে জনগণ তাদের পছন্দ মত প্রার্থী নির্বাচন করতে পারে।
পুটখালী ইউনিয়ানের নির্বাচন সম্পর্কে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, দুই পক্ষ্যের সমার্থকদের কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সহিংসতা এরাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন