যশোরে স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্বামীকে মারপিট
যশোর সদরের বাহাদুরপুর কালিতলা এলাকার বাসিন্দা সুব্রত মজুমদার এর স্ত্রী বিউটি মজুমদারকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় পার্শবর্তী মেহগনীতলা এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর এর ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী রিপন হোসেন ও তার বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন সুব্রত মজুমদার (২৫)।
হামলায় আহত সুব্রত এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। এঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল তারিখে আহতের মা কামনা রানী মজুমদার বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য একেরপর এক চাপ সৃষ্টি করছে আসামীপক্ষ। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা এখনও আটক না হওয়ায় প্রতিরাতেই ভুক্তভোগীদের বাড়িতে ইট নিক্ষেপ, বাড়ির পাশে আগুন ধরিয়ে ভীতি সৃষ্টি, হত্যার হুমকি ও দেশত্যাগ করানোর হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ করেছে।
এদিকে ২৬ এপ্রিল যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে রিপন হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ১৩৪/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৪২৭ ধারায় মামলা করে যার নং-৯৪/৪৯২।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, বাহাদুরপুর কালিতলা এলাকার সুব্রত মজুমদার এর মা কামনা রানী মজুমদার ও স্ত্রী বিউটি মজুমদার প্রতিদিন তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যান। বেশকিছুদিন যাবত প্রতিদিন গোসল করতে যাওয়া আসার পথে সুব্রত’র স্ত্রী বিউটিকে সন্ত্রাসী রিপন হোসেন ও তার সহযোগী আরও ৩/৪ জন আজেবাজে কথা বলে। বিষয়টি জানতে পেরে সুব্রত রিপনের বড়ভাই জীবনের কাছে অভিযোগ করে। এতে রিপন ও তার সহযোগীরা সুব্রত’র ওপরে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট, খুন জখম করার যড়যন্ত্র করতে থাকে। এরপর গত ২৪ এপ্রিল দুপরে মেহগনীতলা মোড়ের দোকান হতে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ী ফেরার পথে বাহাদুরপুর দলু এর মুদি দোকানের সামনে পৌছালে রিপনসহ সন্ত্রাসীরা হাতে ধারালো দাঁ ও লোহার রড নিয়ে সুব্রত’র গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে মাথায় আঘাত করলে সুব্রত রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে এরপর সন্ত্রাসীরা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তার গলা থেকে ১ভরি দুই আনা ওজনের সোনার চেইন ও পকেট থেকে একটি অপ্পো কোম্পানীর স্মার্ট ফোন নিয়ে নেয় এবং মোটরসাইকেলটি রড দিয়ে ভাংচুর করে। মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে সুব্রত’র চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত সুব্রতকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন