যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট ঘোষণা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে ৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে ৭ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৬৯তম বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল মজিদ এ বাজেট প্রস্তাব করেন।
বাজেট উত্থাপন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা তাদের মতামত ও সুপারিশ দেন।
পরবর্তীতে তা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সদস্যদের অনেকে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভাচুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন।
যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল মজিদ বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাজেটের আকার ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২০২১-২২ অর্থ বছরে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট ৫৭ কোটি ৯৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।’
সভায় বাজেটের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন রিজেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি পূর্বেই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার সেই দৃঢ় প্রত্যয়ের অংশ হিসেবে ২০২১-২২ অর্থ বছরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণা খাতে এক কোটি ৫০ লাখ ও গবেষণা সরঞ্জামাদি খাতে চার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের গবেষণাগারগুলোর ইন্ডাস্ট্রির সাথে পার্টনারশীপ ও কোলাবরেশনের সুযোগ বাড়ানো হবে। আমার বিশ্বাস, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই এই অর্থ যথাযথ ব্যবহার করে আমাদের এই লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহি আলম, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ-উদ-দৌলা, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন