যাঁরা বাদ পড়েছেন অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা থেকে

মামলা দায়েরের সময় বাদী এজাহারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সাতজনকে আসামি করেন।

অবশ্য পরে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় এই সাতজনের মধ্যে সাইয়েদ আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে বাদ দেওয়া হয়। তবে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাদ পড়লেও অভিযোগপত্রে রয়ে যায় তাঁর বাবা ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের নাম।

পরে এ মামলায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীকে। ফলে সব মিলিয়ে বর্তমানে এ মামলার আসামির সংখ্যা ছয়জন।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করেছিল দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন  করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

নানা ঘটনা পরিক্রমার পর আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আজ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

এক নজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

  • রমনা থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।
  • মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ।
  • এজাহারে টাকা আত্মসাতের (ঘটনার) সময়কাল হিসেবে ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩ হতে ২৮ মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
  • ২০১০ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
  • মামলার কার্যদিবস ২৬১ দিন ।
  • খালেদা জিয়া হাজিরা দেন ৪৩ দিন।
  • খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আট দিন।
  • গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ রায়ের দিন ধার্য করেন বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
  • রায়ের দিন ধার্য ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।