যাত্রীরা তো দূরের কথা, স্টেশন মাস্টারই টিকিট পাননি!
টানা দুই সপ্তাহ লকডাউনের পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোর পৌনে ৫টা থেকে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বলাকা এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি ময়মনসিংহ রুটে যাত্রা করবে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে এবং ঢাকামুখী অন্যান্য নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানা গেছে। খবর সময়টিভি’র
ঈদের এক সপ্তাহ আগে ঢাকার সঙ্গে দেশব্যাপী ট্রেন যোগাযোগ শুরু হলেও অন্যবারের মতো এবার ঈদ উপলক্ষে স্পেশাল ট্রেন নেই।
বুধবার (১৪ জুলাই) কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্লাটফর্ম ধোয়া-মোছার কাজ করছেন। ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে। তাই কাউন্টারগুলো বন্ধ। তবে স্টেশনে কয়েকজন যাত্রী পাওয়া যায়, তারা ঈদ যাত্রায় ট্রেনে বাড়ি ফিরতে চান।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোলেমান নামে এক যাত্রী যিনি পঞ্চগড় যাবেন বলে অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা থেকে। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করেও সার্ভারেই ঢুকতে পারেননি।
আরেক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকাশ অ্যাপ এবং রেলের ওয়েবসাইটে চেষ্টা করলে বাফারিং শেষ হয় না। তাদের মতো অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের টিকিট না পেয়ে।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই অনলাইনে টিকিট কাটতে পরছি না। যাত্রীর তুলনায় টিকিটের পরিমাণ কম হওয়ায় সার্ভারে অনেক চাপ থাকায় এমন হতে পারে। তবে অনলাইন টিকিট বরাদ্দের সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানকে পরিস্থিতি অবহিত করা হয়েছে।
তবে তিনি দাবি করেন, বেশিরভাগ মানুষ টিকিট পেয়ে গেছেন।
অনলাইনে কাটা টিকিট ছাড়া স্টেশনে না আসার আহ্বান জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ৩৮টি আন্তঃনগর ও ১৯টি কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু হবে। স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশমুখে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে এবং সবাইকে মাস্কসহ করোনা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল আজহা পালিত হবে। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন