যারা গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন ঠেকাতে চায় জনগণ তাদের প্রতিহত করবে: এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সম্মানিত করতে যা যা করণীয় তা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আর মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের পুর্নবাসিত করেছে জিয়া। আর খালেদা জিয়া তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। পরাজয়ের ভয়েই তারা ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল।
পরে নিবন্ধন বাতিলে ১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে মনোনয়ন বানিজ্যে লিপ্ত ছিল। তারা আগামী নির্বাচন ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যারা গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন ঠেকাতে চায় এদেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
আজ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রজন্ম ঐক্যমঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দ্যেশে উপ-মন্ত্রী বলেন, বিএনপির উচিত নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহন করা। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করা জিয়াউর রহমানের দল আর কেমন হবে? ক্ষমতায় আসতে জনগণের কাছে যান। ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ ও সম্পদ লুন্ঠন করেছেন। আর ক্ষমতায় আসতে না পেরে পেট্টোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন, তার মাফ চান। বিএনপিকে এদেশের মানুষ আর কোনোদিন ক্ষমতায় আনবে না। এদেশের জনগণ উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোনো বিদেশী প্রভুরা এদেশের ক্ষমতার মসনদ বদল করাতে পারবে না। এদেশের জনগণের ভোটেই একমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে, অন্যথায় নয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠণের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণিত হয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনেই যে কটি নির্বাচন হয়েছে। তা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অনুরূপভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি বলেন,বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ একই সূত্রে গাথা। এদেশের গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ দুর্বল হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশের যে উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত আছে,আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতা আনার মাধ্যমে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মানিক লাল ঘোষ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আজম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিল্টন আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন