যা করতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানকে সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে

শ্রীলঙ্কা শেষ কবে ওয়ানডে হেরেছে, সেটি বোধ হয় লঙ্কানরাও ভুলে গেছে। কম তো নয়, নিজেদের রেকর্ড টানা ১১টি ওয়ানডে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার চেয়ে টানা বেশি ওয়ানডে জয়ের উদাহরণ আছে মোটে চারটি।

এমন রেকর্ড সঙ্গী করেও আজ লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটু অস্বস্তি নিয়েই খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা। আজ আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেলে যে এশিয়া কাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে সহস্বাগতিকদের। এমন অবস্থায় লঙ্কানদের চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হবে আফগানিস্তান।

পরশু আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়েই নেট রান রেটের হিসাবে সুপার ফোর খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৮৯ রানের ব্যবধানটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান—দুই দলেরই পেছনে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই সাকিবদের।

দল ম্যাচ জয় হার পয়েন্ট নে.রা.রে.
শ্রীলঙ্কা ০.৯৫১
বাংলাদেশ ০.৩৭৩
আফগানিস্তান -১.৭৮০

বাংলাদেশের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে নিজেদের কাজটা কঠিন করে ফেলেছে আফগানরা। তার ওপর আজ খেলা লাহোরের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে। এই মাঠে প্রথম ব্যাটিং করলে কমপক্ষে ৬০-৭০ রানে জিততে হবে আফগানিস্তানকে। আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাটিং করে ৩০০ রান করলে শ্রীলঙ্কাকে ২৩০ রানের মধ্যে থামাতে হবে। আর ২০০ করলে থামাতে হবে ১৩৬ রানের মধ্যে।

শ্রীলঙ্কা প্রথম ব্যাটিং করে যত রানই করুক না কেন, লক্ষ্যটা ৩৫ ওভারের মধ্যে ছুঁয়ে ফেললে সুপার ওভার নিশ্চিত হবে আফগানিস্তানের। তবে শ্রীলঙ্কা ৩০০ করলে, লক্ষ্যটা ৩৮ ওভারের মধ্যে ছুঁলেও চলবে শহীদিদের।

আফগানদের সাহস জোগাতে পারে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসও। গত ১০ মাসে ওয়ানডেতে দুই দল ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে, এর একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে শেষ হতে পারেনি। বাকি ৫ ম্যাচের ২টিতে জিতেছে আফগানিস্তান, ২টিই শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার পেস বোলিং আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ওই বোলিং আক্রমণ নিয়েই বাংলাদেশকে হারিয়েছে লঙ্কানরা।