যুক্তরাজ্যের লুসিকে নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধে নীরব অবদান আর মানবসেবায় কাজ করা বরিশালে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার বিকালে লুসি হল্টের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদটি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এখনদ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী হলেন লুসি।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জাতির জনকের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করায় লুসি হল্টকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
৫৭ বছর ধরে বাংলাদেশে থাকা ৮৭ বছর বয়সী লুসি ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট।
প্রসঙ্গত, যুগান্তরে বিজয় দিবসের বিশেষ সংখ্যায় একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে লুসি হল্টের জীবনী। এই ভিনদেশীর বাংলাদেশের প্রতি মমত্ব ও অবদান তুলে ধরা হয় সেখানে। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরের ফাতেমা হাসপাতালে যুদ্ধাহতদের সেবা করেন। বিদেশে চিঠি লিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমতও গড়েন। ৫৭ বছর ধরে এ দেশে থাকা লুসির চাওয়া ছিল প্রতি বছর ভিসা ফি মওকুফ ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। পরিশেষে তার দুটি চাওয়াই পূরণ করেছে সরকার।
১৯৬০ সালে লুসি হল্ট প্রথম বাংলাদেশে আসেন। বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে যোগ দিয়ে তিনি মানুষের প্রতি সেবার হাত বাড়িয়ে দেন। বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে তিনি স্বাধীনতার পর এ দেশেই থেকে যান। তিনি চান, মৃত্যুর পর তার মরদেহ যেন বরিশালের মাটিতে সমাধিস্থ করা হয়। ২০০৪ সালে অবসরে যাওয়া লুসি এখনও বরিশালে দুস্থ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দিচ্ছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন