যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনা বেড়েছে ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনার পরিমাণ ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে। মঙ্গলবার বাইডেনের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট উদ্বেগজনক এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় দেনার পরিমাণ লাগাতারভাবে বেড়েছে বলেও মন্তব্য করা হয় ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে।
যেখানে ৩ মাস আগেও দেশটির জাতীয় ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বলা হয়েছে। নতুন অর্থ বছরে গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলকে এবং রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষাকল্পে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন নতুন খাতে অধিক ব্যয়-বরাদ্দের জন্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রস্তাব পর্যালোচনাকালে ঋণের পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এসব ব্যয়-বরাদ্দের বাজেট নিয়ে আলোচনার মধ্যেই কংগ্রেস বড়দিন ও নতুন বছরের অবকাশে গেছে। সামনের সপ্তাহে পুনরায় ক্যাপিটল হিলে ফিরলে ব্যয়-বরাদ্দ সম্পর্কিত বাজেট নিয়ে আবারো সকলে মুখরিত হবেন। জানা গেছে, গত বছর ট্যাক্স রিটার্নের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
অপরদিকে করোনার পর যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এক ধরনের মন্দা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রে। তা পুষিয়ে নিতে ব্যাংকসমূহ সুদের হার বাড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টায় এখনও সফলতা আসেনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শুরুতে জাতীয় দেনার পরিমাণ ছিল ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বছরের ব্যবধানে তা ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠায় অর্থনীতিবিদরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এই বিপুল ঋণের জন্যে দৈনিক সুদ গুণতে হচ্ছে দুই বিলিয়ন ডলার করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন