যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বলল র্যাব
র্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন বা লুণ্ঠন করে না বরং রক্ষা করে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এমন মন্তব্য করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ দখলের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের মুখে এমন বুলি মানায় না।
এদিকে, বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান ৭ র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঠিক নয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনিও অবাক হন। সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
রাজধানীতে আলাদা এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না। দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্য কখনো কখনো গুলি ছুড়তে হয়। তারপরও প্রতিটি ঘটনাই তদন্ত হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মাদক নির্মূল থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদ দমনে এলিট ফোর্স র্যাবের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অপরাধ দমনে বাহিনীটিকে দেওয়া হয় বিশেষ দায়িত্ব। একের পর এক সফল দায়িত্ব পালনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এলিট ফোর্সটিকে নিয়ে এমন মন্তব্য করায় হতাশ সংস্থাটি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘন নয় বরং সংরক্ষণ করাই তাদের মূল কাজ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
বিশ্লেষকরা জানান, এটি তাদের রাজনীতির অংশ। বিভিন্ন দেশ দখল করে হত্যা, লুট, নির্যাতনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই প্রতিনিয়ত যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তা নজিরবিহীন।
অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করে বলেও মনে করেন এ বিশ্লেষকরা।
মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্বের ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এ তালিকায় বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেজারি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারি অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) এসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে।
তালিকায় র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ হুমকির মুখে পড়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলেও জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন