যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য শক্তিশালী বার্তা: মির্জা ফখরুল

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ জাতিসংঘের শান্তি মিশনেও প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, রূঢ় শোনালেও এটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই যে, ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা চলমান গণ ও মানবতাবিরোধী সরকারের জন্য সমগ্র বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী বার্তা।

বুধবার সকালে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসাবে চিহ্নিত হওয়ায় ভবিষ্যতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে মোতায়েনও প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বিচারহীন সংস্কৃতি চলতে পারে না। কেবল একটি অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সরকারের শাসনকালেই এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। ‘

তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সব দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার লক্ষে আইন শৃঙ্খলাকারী বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার সব দায়িত্ব তাদেরই।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে বিএনপি লবিস্ট কাজ করেছে বলে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন ফখরুল।

তিনি বলেন, এটা তো খুব স্বাভাবিক যে, এখন তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে। এখন তাদের উপরে যখন সব কিছু পড়বে তখন দায় তাদেরকেই নিতে হবে। তখন তারা দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করবে। এটাতে জনগণের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

‘র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান তো আমরা চালাই না, সরকার চালায়। তাদেরকে নির্দেশ দেয় সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয় সরকার। আমাদের কি করার থাকতে পারে’-যোগ করেন ফখরুল।