যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে যখন
কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটদের নাকি রিপাবলিকানদের হাতে থাকবে তা জানার জন্য সম্ভবত কয়েক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
পেনসিলভেনিয়ার মতো রাজ্যগুলো ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সব ব্যালট গণনা করতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। ইনসাইড ইলেকশনসের প্রকাশক নাথান গঞ্জালেস জানান, নির্বাচনের দিন ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর পরিবর্তে সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। রাজ্যগুলো কত দ্রুত ব্যালট গণনা করে তার মাধ্যমে প্রথম দিকের ভোটের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
মার্কিন নির্বাচনে সাধারণত ডেমোক্র্যাট ভোটাররা রিপাবলিকানদের চেয়ে ডাকযোগে বেশি ভোট দিয়ে থাকে। সেইজন্য প্রাথমিক ফলাফল রিপাবলিকানদের অনুকূলে থাকলেও ডাকযোগে দেয়া ভোট গণনার পর ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে। পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন রাজ্যগুলোতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কর্মকর্তাদের ডাকযোগে পাঠানো ভোটের খামগুলো খোলার অনুমতি দেয়া হয় না। ফলে শুরুর ফলাফলে ‘লাল মরীচিকা’ (রিপাবলিকানদের প্রতীকী রঙ) রিপাবলিক দল এগিয়ে থাকতে পারে। এডিসন রিসার্চের সহপ্রতিষ্ঠাতা জো লেনস্কি বলেছেন, ‘নীল মরীচিকা (ডেমোক্র্যাটদের প্রতীকী রঙ), লাল মরীচিকা, যেটাই জিতুক। আপনি সেই রাজ্যে কোথায় আছেন তা জানার জন্য আপনাকে শুধু দেখতে হবে কী ধরনের ভোট রিপোর্ট করা হচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চার বছর মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ের এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন কয়েক কোটি মার্কিনি। কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ বা সিনেটের ১শ আসনের মধ্যে ৩৪ আসন এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টির সবকটিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটাররা কংগ্রেসের সিনেট ও নিম্নকক্ষ ছাড়াও ৩৬টি অঙ্গরাজ্যে গভর্নর, মেয়রসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
কংগ্রেসের দুই কক্ষই এখন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে। তবে তাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই অল্প ভোটের ব্যবধানে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের কোনো একটি কক্ষে বা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তখন তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যেকোনো পরিকল্পনা আটকে দিতে পারবেন। নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে পাঁচটি অতিরিক্ত আসন জিততে হবে।
সিনেটে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরও তীব্র। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সিনেটে দুই দলেরই সদস্য সংখ্যা ৫০-৫০। তবে ডেমোক্র্যাটরা সিনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কারণ কোনো ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে সমান সমান ভোট পড়লে তখন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়-পরাজয় নির্ধারণের জন্য তার ভোট প্রয়োগ করতে পারেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য রিপাবলিকানদের মাত্র একটি বাড়তি আসন জিততে হবে।—সিএনএন, আলজাজিরা ও বিবিসি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন