যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক সিটি ছেড়ে চলে যাচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গরা : নিউইয়র্ক টাইমস
নিউইয়র্ক সিটিতে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এক দশকে এশীয় ও হিস্পানিক জনসংখ্যা বাড়লেও কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যা কমেছে। দশ বছরের ব্যবধানে দুই সেনসাস প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস গত মঙ্গলবার ‘কেন কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলো নিউইয়র্ক সিটি ছাড়ছে’ শিরোনামে একটি খবর ছাপে।
এই খবরে বলা হয়, তরুণ. ব|ক প্রফেশনাল, মধ্যবিত্ত পরিবার এবং অবসর গ্রহণকারী বয়স্ক কৃষ্ণাঙ্গরা নিউইয়র্ক সিটি ছেড়ে হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নয়ত দক্ষিণে মিড-ওয়েস্টে চলে যাচ্ছে। ফলে গত ২০ বছরে নিউইয়র্ক সিটিতে কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যা কমেছে প্রায় ২০০,০০০। এই সংখ্যা কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। বর্তমানে এই সিটিতে পাঁচজনের একজন নন-হিস্পানিক বøাক। অথচ ২০০০ সালে এই অনুপাত ছিল ৪ জনে ১ জন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বিপুল সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ শিশু ও টিনএজাররা নিউইয়র্কে বাস করতে অনাগ্রহী। ২০১০ থেকে ২-০২০ সাল পর্যন্ত এই বয়সী কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা কমেছে ১০ শতাংশ। এবং এই কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে কৃষ্ণাঙ্গ শিশু জন্মের হার অনুযায়ী এইসব শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে না। টাইমসের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা মা-বাবার সাথে অন্য স্টেটে চলে গেছে।
টাইমস বলছে, কৃষ্ণাঙ্গরা নিউইয়র্ক সিটি ছেড়ে চলে যাওয়ায় এই সিটির যে বৈচিত্র তাতে ছেদ পড়ছে। এমন কি যে কৃষ্ণাঙ্গ রাজনীতিকরা তাদের নিজস্ব কম্যুনিটির ভোট ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, তারাও বেশ শংকিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা স্পাইক লি বলছেন, নিউইয়র্ক সিটিকে এখন আর এ্যাফোর্ডেবল বলা যাবে না। এই সিটি এতটাই ব্যয়বহুল যে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিশেষ করে ‘পিপল অব কালার’ এর জন্য এই সিটিতে বাস করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। নিউইয়র্ক সিটির দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র এরিক এডামসের মনোযোগ আকর্ষণ করলে তিনি এই সিটিকে আরো এ্যাফোর্ডেবল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখছে, সাউথ ইস্ট ক্ইুন্সের সাউথ জ্যামাইকা ও সেন্ট অলব্যান্স এক সময় কৃষ্ণাঙ্গদের এলাকা থাকলেও এখন বিপুল সংখ্যক ল্যাটিনো ও দক্ষিণ-এশীয় ইমিগ্রান্ট মুভ করছে সেখানে। ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত কেবলমাত্র হার্লেমেই কমেছে ৫,০০০ কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যা। ব্রকলীনের বেডফোর্ড-স্টাইভস্যান্ট হারিয়েছে প্রায় ২২,০০০ কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যা।
টাইমস বলছে, সেনসাস ডাটা অনুসারে এখন নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ, হিস্পানিক ২৮ শতাংশ, এশীয় ১৬ শতাংশ। শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যা আগের অবস্থানে থাকলেও এশীয় জনসংখ্যা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ, আর হিস্পানিক জনসংখ্যা বেড়েছে ৭ শতাংশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন