যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারসহ নাগরিকত্বের সুযোগ
অনেকের কাছেই নাগরিকত্বের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পছন্দ। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে চান তবে আপনার জন্য রয়েছে EB-5 প্রোগ্রাম ।
সহজ, ঝামেলামুক্ত, স্বল্প সময়, ঝুঁকিহীন একটি নিশ্চিত প্রোগ্রাম হচ্ছে EB-5। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নাগরিকত্ব লাভের দারুণ সুযোগ রয়েছে ।
চলুন জেনে নিই কী এই প্রোগ্রাম :
EB-5 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনকার্ড প্রোগ্রাম, যা ১৯৯০ সালে অভিবাসন আইনে কংগ্রেস দ্বারা তৈরি করা একটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এই প্রোগ্রাম অনুযায়ী, যে কোনো দেশ বা ধর্মের একজন বিদেশি নাগরিক বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ও স্থায়ী নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারেন। এ জন্য তিনি স্ত্রীসহ ২১ বছরের নিচে ও অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে Regional Center-এর মাধ্যমে ন্যূনতম পাঁচ লাখ ডলার ও আনুষঙ্গিক খরচ বিনিয়োগ করতে হবে, যা পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ফেরত পাওয়া যাবে।
এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রথমে একটি গ্রিনকার্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের সুবিধা দেবে এবং পাঁচ বছর পরে নিশ্চিতভাবে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।
ইবি ৫-এর সবিধা
এই প্রোগ্রামে কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো কোনো পয়েন্ট সিস্টেম নেই। সেই সঙ্গে বয়সের সীমাবদ্ধতা বা ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতারও প্রয়োজন নেই।
কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতা ও আইনি জটিলতা ছাড়া অভিবাসন পাওয়ার এটাই একমাত্র দ্রুততম মাধ্যম। এ জন্য কোনো চাকরির অফারেরও প্রয়োজন হয় না।
এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো অঙ্গরাজ্যে বসবাস করা সম্ভব। যে কোনো অঙ্গরাজ্যে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যিনি এই প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন, তাঁর সন্তানরা বিনামূল্যে দেশটির সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করতে পারবে।
চাকরি থেকে অবসরে গেছেন এমন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করতে যা যা লাগবে
• পাঁচ বছরের ব্যবসায়িক ট্যাক্সের প্রমাণপত্র
• অর্থনৈতিক বিবরণী
• পাঁচ বছরের ব্যাংকের কাগজপত্র
• করপোরেট কাগজপত্র
• কোম্পানির লভ্যাংশের প্রমাণ
• ব্যবসায়িক লেনদেনের দলিল
• জমি-জমার মালিকানার দলিলপত্র
• অন্যান্য আয়ের বিবরণী
• জীবনবৃত্তান্ত (বায়োডাটা)
• ব্যবসায়িক ও পেশাগত সব লাইসেন্স
• জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র
• বিবাহের সনদপত্র
• আট কপি ছবি
• পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
• পাসপোর্টের অনুলিপি।
প্রসেসিং সময়
ইবি-৫ প্রোগ্রামে প্রসেসিং-এর জন্য ১২-১৫ দিন সময় প্রয়োজন হয়।
অভিবাসন আইন ও পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লেখক, কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, আসলেই যাঁদের এই প্রোগ্রামে আবেদন করার যোগ্যতা আছে, তাঁদের আর দেরি করা উচিত নয়। কারণ যে কোনো সময় আইন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তবে অযোগ্য ব্যক্তিদের অযথা আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না করতেও তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে।
আগ্রহীরা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত ও বিজনেস প্রোফাইল পাঠাতে পারেন [email protected] এই ই মেইল ঠিকানায়। এ ছাড়া সরাসরি কথা বলতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে।
এ ছাড়া আরো জানতে ভিজিট করুন www.wwbmc.com ওয়েবসাইটে। কিংবা রাজধানীর উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন।
প্রাথমিক তথ্যের জন্য ফোন করতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০, ০১৯৬৬০৪১৮৮৮, ০১৯৯৩৮৪৩৩৩৯ ও ০১৯৬৬০৪১৩৩৩ এই নম্বরগুলোতে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন