যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী গ্রেফতার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী নীতির কারণে বিপাকে পড়ছেন বহু অভিবাসী। সম্প্রতি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মকর্তারা বাংলাদেশি এক রসায়নের অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে। সৈয়দ আহমেদ জামাল নামের ওই অধ্যাপক মেয়েকে স্কুল নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। তার বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইসিইর কর্মকর্তারা। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
কানসাসের লরেন্সে নিজের বাড়ি থেকেই ওই রসায়নের অধ্যাপককে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেফতার করা হয়। নিজের স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ভালো করে বিদায় জানানোর আগেই ৫৫ বছরের অধ্যাপকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে।
লরেন্সে আহমেদ জামালের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। সবার কাছে খুব প্রিয় এ মানুষটি একজন দক্ষ বৈজ্ঞানিক এবং সমাজসেবী। তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা হতবাক।
৩০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান সৈয়দ আহমেদ জামাল। সেখানে তিনি মলিকিউলার বায়োসায়েন্স এবং ফার্মাসিউটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক পাশ করেন এবং লরেন্সেই নিজের পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন।
এরই মধ্যে সৈয়দ আহমেদ স্টুডেন্ট ভিসা পরিবর্তন করে এইচ-১বি ভিসা পান। বর্তমানে তিনি কানসাস শহরের পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে গবেষণার কাজেও যুক্ত আছেন।
২০১১ সালে জামালের ভিসার বৈধতা শেষ হয়ে যায়। আইসিইর পক্ষ থেকে জামালকে স্বেচ্ছায় প্রস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জামালের কাজের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে যুক্তরাষ্ট্রেই থাকার নির্দেশ দেন অভিবাসন বিচারক। তার তিন সন্তানই মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
জামালের পাঁচ ভাইবোন সেখানকার স্থায়ী নাগরিক। অন্যদিকে তার স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা জয়নব চৌধুরী গত বছরই নিজের একটি কিডনি দান করে এক মার্কিন নাগরিকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। জামাল নিজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাই তিনি কোনোভাবেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন