যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের দাম কমতে কমতে ১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে

আন্তর্জাতিক বাজারে বৃহস্পতিবার ১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছিল স্বর্ণের দাম। তবে পরের দিনই শুক্রবার হঠাৎ ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেক দফা সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এতে ডলারের দর বেড়েছে।

ফলে স্বর্ণের দাম কমেছে। কার্যদিবস শেষে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের স্পট মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২০০৫ ডলার ৩৫ সেন্টে। দিনের শুরুতে যা ছিল ২০৩৩ ডলার ৯০ সেন্ট। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য কমেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২০১৫ ডলার ৮০ সেন্টে। কর্মদিবসের সূচনাতে তা ছিল ২০৪৭ ডলার ৬০ সেন্ট।

গোটা সপ্তাহ ধরে ডলারের দাম কমছিল। কমতে কমতে ১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছিল। তবে আকস্মিক তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ফেড কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে সুদহার বাড়িয়ে যেতে হবে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে স্বর্ণ।

ফলে একটির দর ঊর্ধ্বমুখী হলে আরেকটির কমে যায়। বিশেষ করে মার্কিন মুদ্রার দাম বাড়লে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণ হারায় বুলিয়ন। আগামী মে মাসে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়াতে পারে ফেড। এখন সেই সম্ভাবনা ৮০ শতাংশের ওপরে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে যা ছিল ৭০ শতাংশ।

আরজেও ফিউচার্সের জ্যেষ্ঠ বাজার কৌশলবিদ ড্যানিয়েল প্যাভিলোনিস বলেন, আগামী কয়েকদিনে স্বর্ণের দাম আরও কমবে। কারণ, কিছুদিন পরই সুদহার বাড়াবে ফেড। তাতে বুলিয়ন মার্কেটে ‘ব্ল্যাকআউট পিরিয়ড’ চলবে।