যুদ্ধ ও সংগ্রামে ইতিহাসে জামালপুরের গান্ধী আশ্রম

বৃটিশ শাসন আমলে এ অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতার অগ্রদূত স্বদেশী আন্দোলনে দিক্ষিত হয়ে গোটা বঙ্গভারতে শুরু হয় স্বদেশী আন্দোলন। এ আন্দোলন কে বেগবান করার জন্য ১৯৩৪সালে জামালপুর কংগ্রেসের সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার মেলান্দহ উপজেলার কাপাসহাটিয়া গ্রামে গড়ে তোলেন গান্ধী আশ্রম। যা যুদ্ধ ও সংগ্রামের কালের সাক্ষি হয়ে আজও অবস্থান করছে।

জানা যায়, গান্ধী আশ্রমটি ছিলো স্বাধীনতাকামী মানুষদের মিলন মেলা। স্বদেশী আন্দোলনের নেতা কর্মীদের ভরপুর থাকতো। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, কমরেড মনি সিংহ,বারীন দত্ত¡, খোকা রায়, অনীল মূখার্জি, কমরেড আশুতোষ দত্ত¡, কমরেড রবি নিয়োগী সহ অনেক নেতা যাতায়াত করতেনে। এ সব নেতাদের কারনে স্বদেশী আন্দোলনের মাত্রা বেগবান হয়েছিলো। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে গান্ধী আশ্রম ছিলো কালের সাক্ষি। নেতারা এ আশ্রমে বসে গোপনে মিটিং করতো। ইতিহাসবিদদের মতে বৃটিশরা তা বুঝতে পেরে আশ্রমটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। তবুও স্বদেশী আন্দোলন থেমে থাকেনি। নেতা কর্মীর ঐক্যবন্ধ হয়ে পুনরায় গান্ধী আশ্রম নির্মান করেন।

গান্ধী আশ্রম বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে উজ্জল সাক্ষী হয়ে থাকলেও আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে তথা মুক্তি যোদ্ধাদের জাদুঘর হিসেবে রয়েছে। স্বাধিনতা ও সংগ্রামের ইতিহাসে গান্ধী আজো ফুটন্ত ফুলের মতো সুঘ্রান ছড়াচ্ছে।