যুবকের হাতুড়ির আঘাতে সাতক্ষীরায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী নিহত, ঘাতক আটক

সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠে মাদকাসক্ত যুবকের হাতুড়ির আঘাতে চুমকি খাতুন নামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে।

এঘটনায় ঘাতক ইলিয়াস হোসেনকে আটক করেছে র‌্যাব।

শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চুমকি খাতুন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের ভ্যান চালক রেজাউল ইসলামের মেয়ে এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থিত খাতিমুন্নেসা হানিফ লষ্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল নবম শ্রেণির ছাত্রী।

আর ঘাতক ইলিয়াস হোসেন (৩০) থানাঘাটা গ্রামের পরিবহন সুপারভাইজার একরামুলের ছেলে।

নিহত চুমকির বাবা রেজাউল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে চুমকি গান গাইতে গাইতে খাবার কিনতে বাড়ির পাশের একটি মুদি দোকানে আসছিল। এসময় মাদকাসক্ত বখাটে যুবক ইলিয়াস হোসেন তাকে মাথার পেছন দিক থেকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী বাবলুর রহমান বলেন, মাদকাসক্ত হওয়ায় কয়েক মাস আগে ইলিয়াসের বউ তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে চুমকিকে সে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিত। কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার ক্ষোভে আজ ইলিয়াস চুমকিকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা ইলিয়াসকে মার-ধর করে গাছে বেঁধে রেখে র‌্যাবকে খবর দেয়। খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মমতাজ মুজিব জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই চুমকি খাতুনের মৃত্যু হয়। হাতুড়ির আঘাতে মেয়েটির মাথায় মারাত্মক হেড ইনজুরি হয়েছিল। আঘাত পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।