যুবরাজের ক্ষমতা খর্ব করলেন বাবা!
সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের কর্তৃত্ব খর্ব করে দিয়েছেন তার বাবা বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের খবরে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, গত ১৫ দিনে বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রিসভা ও কূটনৈতিক বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি তাকে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কয়েকটি অর্থনৈতিক ও আর্থিক কর্তৃত্ব খুইয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার পর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন যুবরাজ মোহাম্মদ।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজের হাত রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিসরে এমবিএস নামে পরিচিত ৩৩ বছর বয়সী যুবরাজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এ ছাড়া গুজব রটেছে যে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে যুবরাজের বিরোধ দেখা দিয়েছে।
তবে নৃশংস ইয়েমেন সংঘাতে সৌদি আরবের ভূমিকার ফল সৌদি রাজকীয় আদালতে উত্তেজনা চরম উঠেছে কিনা তা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
গার্ডিয়ানের খবর বলছে, সৌদি যুবরাজ সম্প্রতি বেশ কিছু মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এতে তার অর্থনৈতিক ক্ষমতায় কাটছাঁট করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমনটিও বলা হচ্ছে যে, চলতি মাসের শুরুতে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের কাছে বাদশাহ এ ঘোষণা দিয়েছেন। যুবরাজকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকতে তার ৮৩ বছর বয়সী বাবা নির্দেশ দিলেও তিনি তাতে থাকেননি।
এতে নিজেদের উত্তরসূরির ওপর বাদশাহ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। কাজেই এখন বড় ধরনের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ।
বাদশাহর শীর্ষ উপদেষ্টা মুসায়েদ আল ইবানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হওয়ার দাবি করেছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। বাদশাহর পক্ষ থেকে বিনিয়োগবিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো হার্ভাডের এই সাবেক শিক্ষার্থী দেখভাল করেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকে বসেননি যুবরাজ মোহাম্মদ। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান, চীন ও ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও বসেননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাস থেকে কোনো জবাব আসেনি।
সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের মধ্যে বিরোধের বিষয়ে চলতি মাসের শুরুতে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছিলেন, যাতে বাদশাহ সালমানকে বিজয়ী হিসেবে দেখা গেছে।
হেলিক্স ইন্টারন্যাশনালের নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেইমস পথক্যারি বলেন, যখন সৌদি রাজপরিবারের যে কোনো কার্যক্রমের অর্থ উদ্ধার করা খুবই কঠিন, সেখানে বিরোধের একটি প্রমাণ দেখা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন