যেখানেই যান সবাই তাকে ছুঁতে চায়, কিন্তু তিনি অমিতাভ বচ্চন নন!
যদিও তিনি অনেক সময় হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন, কিন্তু রিয়েল লাইফে কখনই নন! পার্থক্য ঠিক দু’ইঞ্চির। দু’ইঞ্চির তফাত বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন ও তার ডামি শাহির খানের।
আর তাতেই বদলে গেছে অমিত খান ওরফে শাহির খানের জীবন। তিনি অমিতাভ, কিন্তু তিনি অমিতাভ নন। তিনি যেখানেই যান সবাই তাঁকে ছুঁতে চায়। ভাবেন শাহেনশার ছোঁয়া পেলেন। কিন্তু দিনের শেষে বাড়ি ফিরে শাহির খান নিতান্তই এক সাধারন মানুষ।
অমিতাভ বচ্চন, নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ৬ ফুট ২ ইঞ্চির লম্বা পেটাই চেহারা। সত্তরের দশক থেকে একুশ শতকে এসেও একটুও চাহিদা কমেনি বিগ-বি’র। আর যদি তার একবার ছোঁয়া পাওয়া যায়? তাহলে আর কি! ৬ ফুট উচ্চতার টাটার বাসিন্দা শাহির খানকে দেখলে ঠিক এমন ভাবেই পাগল হয়ে ওঠেন মানুষ। কারণ তিনি টপ টু বটম কপি পেস্ট অমিতাভ বচ্চন।
কিন্তু দিনের শেষে তিনি একজন সাধারন মানুষ। তিন সন্তানের বাবা। সংসার চালান পোশাকের ব্যবসা করে। নকল অমিতাভের আলাদা পরিচিতি তাকে রেখেছে কখনও সুখে, কখনও দুখে। আর সেই সুখ-দুঃখের মাঝেই কাটছে নিতান্তই সাধারন শাহিরের জীবন। উচ্চতায় দুই ইঞ্চি হলেও জীবনের তফাৎটা আকাশ পাতাল।
কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র খবরে বলাহয়, নকল অমিতাভের সঙ্গে আসল অমিতাভের দেখা হয়েছিল মাত্র একবারই। শাহির জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালে অমিতজি ভোটের প্রচারে বেড়িয়েছিলেন। তখন ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। কিন্তু ভালো করে কথা হয়নি। পরের দিন আলাদা করে ফের সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেন শাহির। কিন্তু আসল অমিতাভের ফ্যানদের ভিড়ে ডামি অমিতাভ হারিয়ে গিয়েছিলেন। শাহিরের কথায়, সে দিনই বুঝেছিলাম ওই দুই ইঞ্চির তফাতটা।
তবে এতে কোন ক্ষোভ নেই শাহিরের। বলছেন, ভগবান তাকে অমিতজির চেহারার সঙ্গে মিল দিয়েছেন। এটাই অনেক। সবাই তাকে অমিতাভ বলে ভাবেন। বাচ্চারা ছুটে আসে একটা ছোঁয়া পাবার জন্য। কিন্তু তিনি জানেন দু ইঞ্চির তফাতটা। তাই ভক্তদের আবেদনে ছবি তুললেও কখনও সাক্ষর দেন না তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন