যেভাবে উদ্ধার হলেন সরিষাবাড়ির মেয়র
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি পৌরসভার মেয়র ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামানকে নিখোঁজের দু’দিন পর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল বলেন, বুধবার দুপুর ১টার দিকে কালিঘাট ইউনিয়ন অফিসের সামনে একটি মাইক্রোবাস থেকে মেয়রকে ফেলে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন অফিসের পাহারাদার মেয়রকে অফিসে নিয়ে রেখে চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক মেয়রকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।’
ওসি বলেন, ‘তিনি (মেয়র) বলছেন যে তাকে খাবারের সঙ্গে কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তাই তিনি এখন অর্ধ-চেতন অবস্থায় আছেন।’
এদিকে কালিঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রানেশ গোয়ালা বলেন, ‘আমরা মেয়রকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন অফিসের ভেতরে নিয়ে আসি। তাকে জিজ্ঞাসা করি যে তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না। তখন মেয়র বলেন আমার চোখ বাঁধা ছিল। গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার সময় আমার চোখ খুলে দেওয়া হয়।’
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘উদ্ধার করা অবস্থায় তাকে অনেকটা এবনরমাল (অস্বাভাবিক) অবস্থায় পাওয়া যায়।’
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল বিকাল পৌনে ৫টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, মেয়র রুকুনুজ্জামান এখন শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মেয়র কিভাবে অপহৃত হয়েছেন এর সঠিক কোনো তথ্য জানাচ্ছেন না। এছাড়া তিনি একেক সময় একেক কথা বলছেন। আমরা তাকে উত্তরা থানায় হস্তান্তর করব।’
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা রুকুনুজ্জামান রাজধানীর উত্তরা থেকে সোমবার সকালে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজের আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসের এক অংশে মেয়র রুকুনুজ্জামান লিখেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আহবান যে, আমাকে হত্যা করা হলেও তোমাদের সিক্ত ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এবং আমার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তোমরা ধরে রাখবা।’
দিনভর কোনো খোঁজ না পেয়ে মেয়রের ভাই সাইফুল ইসলাম টুকন সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১৬১১) করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন