যেভাবে চিনবেন জাল নোট
ঈদুল আজহা এলেই বেড়ে যায় নগদ টাকার লেনদেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধূ ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করে।
কোরবানির ঈদ এলেই গরুরহাটে জাল নোটের লেনদেনের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। প্রতারিত হতে পারেন আপনি। মাটি হয়ে যেতে পারে ঈদের আনন্দ।
ঈদ বাজারে গরু কিনেন আর কেনা কাটা যাই করুণ না কেন, জাল টাকার নোটের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে আপনাকে। প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় জন্য আমাদের জাল নোটগুলো চেনা খুবই জরুরি
আসুন জেনে নেই জাল নোট চেনার সহজ উপায়;
১. জাল নোটগুলো নতুন হবে: জাল টাকার নোটগুলো সাধারণত নতুন হয়। কারণ জাল নোটগুলো সাধরণত কাগজের তৈরি, তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোটগুলো নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বোঝা যায় ।
২. ঝাপসা দেখায়: জাল নোট আসলের মতো ঝকঝকে থাকে না, দেখতে ঝাপসা দেখায়। টাকা লেন দেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায় ।
৩. কাগজের মতো ভাঁজ হয়: জাল নোট কাগজের মতো ভাজ হয়। হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ভাঁজ পরে যায়। আর আসল নোট ভাঁজ হবে না।
৫. বাংলাদেশ ব্যাংক: নোট সোজা করে ধরুন এবার লক্ষ্য করুণ নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে। একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ওটা কোনো রেখা নয় । সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কথাটা লেখা আছে ।
৬. ভাজ করলেও সহজে ভাঙে না: আসল টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পাশে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না । আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেঙ্গে যাবে।
৭. আসল নোট সবসময় খসখসে : আসল টাকার নোট সব সময় খসখসে হয়। আর জাল নোট মসৃণ হয়।
৮. আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট : জাল টাকা শনাক্তের অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট । এই লাইটের মাধ্যমে সনাক্ত করা খুবই সহজ। আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের ওপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বল জ্বল করে উঠবে । জাল নোটে তা হয় না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন