যেভাবে ‘সুজন মাঝি’ থেকে ‘নৌকার মাঝি’ হলেন ফেরদৌস

চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায় চলচ্চিত্র ‘সুজন মাঝি’। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত এ ছবিতে নাম ভূমিকায় দেখা যায় নায়ক ফেরদৌসকে। নায়ক তো অভিনয়ই করবেন, তবে ফেরদৌসের জন্য ‘সুজন মাঝি’টা বিশেষই বলা যায়। কারণ চলতি বছর তাঁর এই একটি চলচ্চিত্রই পর্দায় পেয়েছেন ফেরদৌস ভক্তরা। নায়ক বেশ ব্যস্ত ছিলেন নৌকা সামলাতে। সেই কাজেই সুফল এলো একেবারে হাতে-পাতে। এ বছরই ঘোষণা হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মাঝিদের নাম। আর সেখানে বেশ জ্বলজ্বলে এই চিত্রনায়ক।

রোববার নাম ঘোষিত হওয়ার আগে গতকাল ফেরদৌস কথা বলেন ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে আমি সবসময় কাজ করেছি। নৌকার টিকিট পেলাম কি পেলাম না, এটা বিষয় নয়। দলীয় আনুগত্যের সঙ্গেই আমি বেশ ক’বছর ধরে তাঁর সাথে কাজ করছি, আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছি; প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি। আমি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মনে করি। অভিনয়ের পাশাপাশি নৌকার প্রতীক নিয়ে দেশের এই প্রান্ত থেকে সেই প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। তাঁর ওপর আমার অগাধ আস্থা-বিশ্বাস।’

ফেরদৌসের এই ছুটে বেড়ানোটা বেশ পুরনো। তবে গত জাতীয় নির্বাচনে (২০১৮) আদাজল খেয়ে নেমেছিলেন। ২০১৪ সালেও ছিলেন সরব। এমনকি ২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটের প্রচার করে সমালোচনায় পড়েছিলেন ফেরদৌস।

ফেরদৌসের চলচ্চিত্র জগতের আসার সময় কলকাতার একটা সংশ্লেষ ছিল। কলকাতা-ঢাকা যৌথ প্রযোজনার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন এপার-ওপার দুই বাংলাতেই। ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন ফেরদৌস। এই আসনের মধ্যে আছে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান, হাজারীবাগ এলাকা।

ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। তবে তিনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন। ‘বুকের ভেতর আগুন’ ছবির জন্য প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ফেরদৌস। ১৯৯৭ সালে ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। এরপর ১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত পৃথিবী ‘আমারে চায় না’ ছবির মধ্য দিয়ে।

‘মিট্টি’ নামে একটি বলিউড ছবিতেও তাঁকে দেখা গেছে। ফেরদৌস তাঁর ক্যারিয়ারে ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।