যেসব সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পক্ষে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়৷
জামায়াত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য রাখার প্রস্তাব করেছে।
পুলিশের জন্য স্বাধীন কমিশন গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছে দলটি।
পুলিশ বাহিনীতে জামায়াতে ইসলামী যে সংস্কারের প্রস্তাব করেছে— তার মধ্যে রয়েছে সংস্থাটির জন্য স্বাধীন কমিশন। একইসঙ্গে পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না।
এছাড়া গত ১৫ বছরে যারা র্যাবে কাজ করছেন, তাদেরকে স্ব-স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়৷
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি না রাখার প্রস্তাব করেছে জামায়াত। সেইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী ২ বছর ৩৫, এর পর থেকে ৩৩ বছর করার প্রস্তাব করা হয়। আর অবসরের বয়স ৬২ করার প্রস্তাব করা হয়।
সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা স্থায়ী করতে হবে
রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পক্ষে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়৷
প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
যেখানে ১০টি ধাপে রয়েছে আইন ও বিচার, সংসদ বিষয়ক সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা সংস্কার (পুলিশ বাহিনী ও র্যাব বিষয়ক সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, দুর্নীতি, সংবিধান সংস্কার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কার, সংস্কৃতি সংস্কার, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কার।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার প্রস্তাবে দলটি উল্লেখ করে-
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা (Proportional Representation-PR) চালু করতে হবে।
সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করতে হবে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
কোনো সরকারি চাকরিজীবী তাদের চাকরি ছাড়ার কমপক্ষে ৩ বছরের মধ্যে কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঘ ও উ- ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে।
সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে
রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পক্ষে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়৷
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
যেখানে ১০টি ধাপে রয়েছে আইন ও বিচার, সংসদ বিষয়ক সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা সংস্কার (পুলিশ বাহিনী ও র্যাব বিষয়ক সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, দুর্নীতি, সংবিধান সংস্কার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কার, সংস্কৃতি সংস্কার, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কার।
জনপ্রশাসন সংস্কার প্রস্তাবে দলটি উল্লেখ করে-
জনবল নিয়োগ, বদলি, পদায়নে তদবির, সুপারিশ ও দলীয় আনুগত্যের পরিবর্তে যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
যে কোনো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত সময়ক্ষেপণ না করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তী বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
চাকরির আবেদনে সকল ক্ষেত্রে বয়সসীমার বৈষম্য নিরসন করতে হবে।
সকল সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি নিরোধকল্পে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা যাতে করে কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ না পায়। এ জন্য প্রয়োজনীয় মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
চাকরিতে বিরাজমান আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারি চাকরিতে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও দলীয় বিবেচনায় চাকরি পেয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
টানা দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না
রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পক্ষে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়৷
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
যেখানে ১০টি ধাপে রয়েছে আইন ও বিচার, সংসদ বিষয়ক সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা সংস্কার (পুলিশ বাহিনী ও র্যাব বিষয়ক সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, দুর্নীতি, সংবিধান সংস্কার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কার, সংস্কৃতি সংস্কার, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কার।
সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে দলটি উল্লেখ করে- একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখার বিধান সংযুক্ত করতে হবে।
সংসদ বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবে দলটি উল্লেখ করে- সংসদের প্রধান বিরোধীদল থেকে একজন ডেপুটি স্পিকার মনোনীত করতে হবে। সংসদীয় বিরোধী দলীয় নেতার নেতৃত্বে ছায়া মন্ত্রিসভা গঠনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
এর আগে, অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্রজনতার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ।
সংস্কারের প্রস্তাবনা তুলে ধরে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংক্ষিপ্ত প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারে দলের পক্ষ থেকে মূল ৪১টি প্রস্তাবনা রয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে
জনবল নিয়োগ, বদলি, পদায়নে তদবির, সুপারিশ ও দলীয় আনুগত্যের পরিবর্তে যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
যে কোনো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত সময়ক্ষেপণ না করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তী বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
চাকরির আবেদনে সকল ক্ষেত্রে বয়সসীমার বৈষম্য নিরসন করতে হবে।
সকল সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি নিরোধকল্পে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা যাতে করে কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ না পায়। এ জন্য প্রয়োজনীয় মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
চাকরিতে বিরাজমান আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারি চাকরিতে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও দলীয় বিবেচনায় চাকরি পেয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
শিক্ষা কমিশনে আলিয়া ও কওমি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে
সংস্কার ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কার।
বিরাজমান সমস্যার আলোকে শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবে দলটি উল্লেখ করে-
● ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিকে উচ্চমাধ্যমিক হিসেবে বলবৎ রাখতে হবে। অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে পূর্বের পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
● পাঠ্যপুস্তকে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে হবে।
● সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী উপাদান বাদ দিতে হবে।
● সকল শ্রেণিতে নবী করিম সা. এর জীবনীসহ মহামানবদের জীবনী সংবলিত প্রবন্ধ সংযোজন করতে হবে।
● স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিদ্যমান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে সরকারীকরণ করতে হবে।
● প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে কামিল মাদরাসাকে সরকারীকরণ করতে হবে।
● কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত করতে হবে।
● Department of Higher Education নামে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
● শিক্ষা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত শিক্ষা কমিশনের সকল ধারা তথা সাধারণ, আলিয়া, কওমির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
হজ-উমরার খরচ কমাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে
ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কারে দলটি উল্লেখ করে, হজব্যবস্থাপনার জন্য স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং হজ ও উমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া এ সংস্কারে আরও রয়েছে-
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে (ইফাবা) রাষ্ট্রের কল্যাণে অর্থবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিকে স্বতন্ত্র সংস্থা বা দপ্তরে রূপান্তর করতে হবে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
ইসলামিক মিশনকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে দেশের বরণ্যে আলেমগণ সম্পৃক্ত থাকবেন।
বিতর্কিত সকল বই বাতিল ও প্রকাশনা বন্ধ করতে হবে।
সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন