যে কারণে আগামীকাল বঙ্গভবনে যাবে নির্বাচন কমিশন
আগামীকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল অগ্রগতির তুলে ধরার পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার জন্য অনুমতি চাইবে ইসি। তবে ঠিক কত তারিখে তফসিল ঘোষণা হবে কিংবা কত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে অল্প কিছু দাপ্তরিক কাজ। নির্বাচন পরিচালনার ম্যানুয়েল তৈরির কাজেও হাত দিয়েছে কমিশন। সংশোধিত আরপিও অধ্যাদেশ আকারে জারির পরই প্রকাশ করা হবে এটি। নির্বাচনকে ঘিরে কমিশনের এসব কাজের অগ্রগতি রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়াও সেরে নিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ হয়েছে গেছে। আমাদের ভোট কেন্দ্রের তালিকা পেয়ে গেছি। আমাদের ভোটার তালিকাও সম্পূন্ন। এ পর্যায়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি আছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ডিসেম্বর, ২০ ডিসেম্বর, ২৭ ডিসেম্বর, নাকি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এ আলোচনায় সরব এখন চায়ের দোকান থেকে অফিস-আদালত। আর কবে নাগাদ তফসিল ঘোষণা হবে, তা নিয়েও আগ্রহ এখন সবার মনে। যদিও কমিশন সচিব বলছেন, তফসিল ঘোষণা কিংবা ভোটের তারিখ নিয়ে কোন আলোচনাই হবে না রাষ্ট্রপতির সঙ্গে।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তফসিল নিয়ে আলোচনা হবে না। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জানানো হবে যে, আমরা তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। আপনার অনুমতি গ্রহণ করলাম।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার কমিশন সভায় বসবে ইসি। এরপরই তফসিলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানোর কথা রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন