যে কারণে পশ্চিমা দেশগুলোয় জন্মহার এত কম!
একটি দেশের জন্যে জনসংখ্যাই হলো মূল শক্তি। আর এই জনসংখ্যা শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম। ছোট একটি দেশে এত মানুষ, কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে ১০ গুণ বেশি আয়তনের, কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যা দশ ভাগের এক ভাগও নেই, এমন দেশও বিরল নয়।
কোনো কোনো দেশে জন্মহার খুবই কম। এতই কম যে, দিনে দিনে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়ার বদলে কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ সেসব দেশে জনসংখ্যা কমছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহর, স্কুল।
পরিস্থিতি এমন যে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মতো পর্যাপ্ত লোকবলের জন্য বিদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে সেসব দেশকে। আবার অন্য দেশের মানুষদের নাগরিকত্ব দিতে কঠোর অবস্থানে থাকা বেশ কিছু দেশ এই পরিস্থিতিতে তাদের নাগরিকত্ব নীতিমালাও পাল্টে ফেলছে।
জনসংখ্যার এই অবস্থা এশিয়ার তুলনায় পশ্চিমা ঠান্ডা দেশগুলোয় বেশি দেখা যায়। তবে এশিয়াতেও জনসংখ্যার এই সংকটে ভুগছে জাপান।
পশ্চিমে নারীর ‘বন্ধাত্বে’ দায়ী ফাস্টফুডও
সম্প্রতি একটি গবেষণায় পশ্চিমা দেশগুলোয় জন্মহার কম হওয়ার জন্যে অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি সেখানকার নারীদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করা হয়েছে। অক্সফোর্ডের হিউম্যান রিপ্রোডাকশন বিভাগের একটি গবেষণায় তুলে ধরা হয় বিষয়টি।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেনের পাঁচ হাজার ৫৯৮ নারীকে পর্যবেক্ষণ করার পর গবেষণায় বলা হয়, যারা প্রতি সপ্তাহে চার বার বা তার বেশি ফাস্টফুড খেয়েছে তারা গর্ভধারণ করতে বেশি সময় নিয়েছে।
এই গবেষণার আধারেই গবেষকরা জানান, বছরের পর বছর ফাস্টফুডে অভ্যস্ততার জন্যেই পশ্চিমা নারীরা বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভোগে। যদিও এই গবেষণার কোনো অংশে পুরুষ নিয়ে কাজ করা হয়নি।
গবেষকদের মতে, পিৎজা ও বার্গার জাতীয় খাবার রোজ খেলে স্বাভাবিক খাদ্যে অনীহা শুরু হয়। যা থেকে পুষ্টিকর খাদ্যের প্রতি অরুচি দেখা দেয়। ফলাফল অপুষ্ট শরীর ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।
শীতপ্রধান দেশগুলোয় জন্মহার এমনিতেই কমে যায় জলবায়ুর জন্যে। এমতাবস্থায় অস্বাস্থ্যকর খাবার শারীরিক সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
বন্ধ্যাত্বের আরও একটি কারণ দেখিয়েছেন গবেষকরা। সেটি হলো ব্যাথার ওষুধ। মাথা ব্যথা, পেট ব্যথায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চিড়ামুড়ির মতো ওষুধ খাওয়ার জন্যেও নারীর সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যেতে থাকে।
তবে নিয়মিত ফলপাকড় ও পুষ্টিকর খাবারে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বাড়তে পারে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন