যে দেশে ভালোবাসা দিবস নিষিদ্ধ! পালিত হবে ‘বোন দিবস’
আর মাত্র একদিন পরেই প্রায় সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হবে পালিত হবে ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’। রোমান ধর্মযাজক ভ্যালেইটাইন’সের প্রচলিত ইতিহাসকে স্মরণ করে এদিন প্রিয়জনকে ফুল, কার্ড উপহার দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করবে মানুষেরা।
দিবসটি প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য সমাজে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আনন্দ উৎসাহে পালন করা হচ্ছে।
তবে এই দিবস উদযাপনকে একপ্রকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানে।
২০১৭ সালে দেশটি ভালবাসা দিবসকে ঘিরে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
সে হিসেবে এবারও প্রায় একরকম ভ্যালেইটাইন’স দিবস পালন নিষিদ্ধ সেখানে।
তবে দিবসটির পালনে জনসাধারণের মাঝে অনুৎসাহিত করতে পাকিস্তানে এবার নেয়া হয়েছে অভিনব এক পন্থা।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তারা পালন করবে ‘বোন দিবস’। পাকিস্তানের ফৈজাবাদের অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য জাফর ইকবাল ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘বোন দিবস’ ঘোষণা দিয়েছেন।
ভালবাসা দিবস পাকিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামের ভাবধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে উপাচার্য জাফর ইকবাল বলেন, ভালোবাসা দিবসকে ‘বোন দিবস’ হিসেবে পালন করাটা হবে পাকিস্তান ও ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছেন, আমাদের সংস্কৃতিতে নারীরা মা-বোন, কন্যা ও পত্নী রূপে সম্মান পান বেশি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ফুল বা কার্ড নয় আগামীকাল দিবসটি পালনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামাঙ্কিত স্কার্ফ, শাল ও গাউন বিতরণ করা হবে বলে জানান ভাইস চ্যান্সেলর।
২০১৭ সালে ভ্যালেনটাইন’স ডে পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কোহাট জেলার স্থানীয় সরকার।
সেসময় পাকিস্তান মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভালবাসা দিবসকে নিয়ে কোন প্রকারের খবর প্রচার করা যাবে না বলে আইন জারি করা হয়।
টেলিভিশন চ্যানেলেও ভালবাসা দিবসকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করা হয়।
এমনকি এ দিনটি উদযাপনে ওই জেলার বিভিন্ন দোকানে কার্ড বা উপহারসামগ্রী বিক্রি বন্ধ করে দিতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও ভালোবাসা দিবস মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো অংশ নয় মন্তুব্য তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসেইন দিবসটি উদযাপন না করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ের দেশটির কোহাটের জেলা প্রশাসক মাওলানা নিয়াজ মুহাম্মাদ দেশটির সংবাদমাধ্যম দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে বলেন, ‘ফুল, কার্ড বা উপহার দেয়া সাধারণভাবে খারাপ নয়। কিন্তু বিশেষ কোনো দিনের সঙ্গে একে যুক্ত করা ঠিক নয়। এই চর্চা অশালীন আচরণকে উৎসাহিত করতে পারে। পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় কিছু গোষ্ঠী এই দিনটি উদযাপনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন