যৌনদাস তৈরি করতে শিশুদের মঙ্গলগ্রহে পাঠাচ্ছে নাসা!
শিশুদের পৃথিবী থেকে চুরি করে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হচ্ছে? মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কি গোপনে মঙ্গলগ্রহে কলোনি তৈরি করছে? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানকার জনপ্রিয় এক রেডিও শো’য়ে রবার্ট ডেভিড নামে এক অতিথি শিল্পী এই তত্ত্ব খাঁড়া করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন।
অ্যালেক্স জোনস শো’য়ে গত বৃহস্পতিবার রবার্ট দাবি করেন, “মঙ্গলগ্রহে এখন শিশুদের ভিড়। পৃথিবী থেকে শিশুদের অপহরণ করে মঙ্গলগ্রহে ২০ বছরের জন্য পাঠানো হয়েছে। কারণ, একবার মঙ্গলে পৌঁছে দিতে পারলে ভবিষ্যতে নাসার ক্রীতদাস হওয়া ছাড়া ওই শিশুদের কাছে অন্য কোন উপায় থাকবে না। ” নাসা অবশ্য এই অভিযোগের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে নাসার মঙ্গলাভিযান দলের এক মুখপাত্র গায় ওয়েবস্টার ‘ডেইলি বিস্ট’কে স্পষ্ট জানিয়েছেন, মঙ্গলে শুধুই রোভার্স বা যান পাঠানো হয়েছে। কোন মানুষ মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হয়নি। অপহৃত শিশুদের মঙ্গলে পাঠিয়ে ক্রীতদাস বানানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
সত্যি বা মিথ্যা যাই হোক না কেন, এই অভিযোগে আপাতত উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জোনস, যিনি এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর রেডিও শো’য়ে এরকম একাধিক চাঞ্চল্যকর আগেও এনেছেন। তাঁর জনপ্রিয় এই শো ১১৮টি রেডিও স্টেশনে সম্প্রচারিত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর অনুষ্ঠান শোনেন। শুধু রেডিও নয়, ইউটিউব ও ফেসবুক-টুইটারেও তাঁর কয়েক লক্ষ ভক্ত রয়েছেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২ লক্ষেরও বেশি। এর আগেও জোনস একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০০১-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে পিজ্জাগেট কেলেঙ্কারির অভিযোগ। জোনস সেই সময় অভিযোগ তোলেন, ওয়াশিংটন ডিসির পিজ্জারিয়ায় একটি গোপন বেসমেন্টে শিশুদের যৌনদাস করে রেখেছেন হিলারি ও তাঁর অনুগামীরা। ২০১২-র ডিসেম্বরে নিউটাউনের একটি স্কুলে ২০ জন শিশু ও ছয়জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন জোনস। যদিও তাঁর সেই অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি।
এবার সেই জোনসের শো’য়ে সম্ভবত সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি তুলে দিলেন রবার্ট। তাঁর দাবি, আমেরিকা থেকে সম্প্রতি যত শিশু চুরি-অপহৃত হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেককেই মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে যৌনদাস করে রাখা হতে পারে তাদের। তাদের উপর নানারকম অমানুষিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৩.৯ মিলিয়ন মাইল দূরে মঙ্গলগ্রহের জলবায়ু মানুষের বেঁচে থাকার পক্ষে প্রতিকূল। বেশিরভাগ সময় সেখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের প্রায় ৮১ ডিগ্রি নিচে থাকে। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এত বেশি যে কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে শ্বাস-প্রশ্বাসের পক্ষে তা একেবারেই অনুপযুক্ত। এখন নাসা এই অভিযোগের কী উত্তর দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আমেরিকার সাধারণ নাগরিকরা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন