রংপুরের পীরগঞ্জে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ!

রংপুরের পীরগঞ্জের কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে এক প্রভাবশালী মহল। আদালত কর্তৃক নোটিশ জারির পর টানা ২৫দিন নির্মাণকাজ বন্ধ থাকলেও শনিবার (২৯জুন) সকাল থেকে আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করেছে দখলদাররা।

অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ পৌঁছালে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করা মাত্রই পুনরায় নির্মাণকাজ চালু করে। অথচ বিবদমান ওই জমি নিয়ে উচ্চ আদালতের (হাইকোর্ট) অবজারভেশন রায়, জেলা জজ আদালতের আপিল ডিভিশনের রায়সহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫, ১৮৮ ধারায় পৃথক ৩টি নোটিশ জারি রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের করিমপুর মৌজার খাদেম হোসেন ও মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রইচ উদ্দিনের সাথে মৃত আবু হোসেনের ছেলেদের করিমপুর মৌজায় জে,এল,নং- ৩০৫, সি, এস, খতিয়ান নং ৬০, এস, এ, খতিয়ান নং-৭২, আর, এস খতিয়ান নং-৩২১, সাবেক দাগ নং-১৮৪, হাল দাগ নং-৩৬৮, জমি- .৫৮ (শতক) একর জমি নিয়ে ২টি পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। ২টি পক্ষে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মামলা পাল্টা মামলা ও দখল-বেদখলের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।

হাইকোর্টের বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি ব্যারিস্টার মোশারফ হোসেন কাজল জানান, বর্ণিত তফশীলের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টের অবজারভেশন রায়ে এই জমি সরকারি খাস, যা রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব সরকারের, কোন পক্ষে ডিসিআর/খাজনা খারিজ করলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাগণ আদালত অবমানননা করবেন।

পীরগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার রেজাউল করিম জানান, ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ব আইনে কোন জমিতে মামলা থাকলে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন ডিসিআর কর্তণ বা জমি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

কাবিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি জানান, আমার মতে এই সম্পত্তি এনিমি প্রপার্টি। হাইকোর্টের রায়ে সরকারি খাস। জমি দীর্ঘদিন ধরে খাদেম হোসেন ও রইচ উদ্দিনের ভোগ দখলে। বর্তমানে অপরপক্ষ দখল করতে ভেকু দিয়ে পুকুর খননসহ ঘর নির্মাণ করছে।

সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) জানান, যেহেতু ১৪৪/১৪৫ শুনানী ৩১/০৭/২০২৪ ইং সেহেতু তহশীলদারের প্রেরিত প্রতিবেদন সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। শুনানী না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ কোন পক্ষ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। হাইকোর্টের রায় পর্যালোচনা করছি।