রংপুরের পীরগঞ্জে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ভূমি কর্মকর্তাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রংপুরের পীরগঞ্জে জমি দলখকে কেন্দ্র করে গত ২০ আগষ্ট দুপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে পাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার পুত্র গোলাম মোস্তফা (৩৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর রাতে মারা গেলে একই দিনে (২৪ আগষ্ট) পীরগঞ্জ থানায় নিহতের ছোট ভাই চান মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নং ৩৮/২০২৫।

‎এতে ১নং আসামী ভেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজুর হোসেন মন্ডল, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আখেরুজ্জামান, ইউপি সদস্য এনামুল হক ও মেজবাহুর রহমানসহ বিভিন্ন এলাকার ৩০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ে করা হয়েছে। আসামীর তালিকায় একাধিক মহিলাও রয়েছেন।

‎উল্লখ্য- উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের জনৈক আবুল কাশেম মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল জলিল মিয়ার ১ একর ৭৬ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা পাল্টা মামলাও চলছিল।

সম্প্রতি আবুল কাশেম মিয়া আদালতের একাধিক রায়, ভোগদখল, খারিজ খাজনা ও বর্তমান রেকর্ডমূলে উক্ত জমি একই ইউনিয়নের মাইকড় গ্রামের সামছুজ্জামান ওরফে ফুল মিয়ার নিকট বিক্রি করেন। ফুল মিয়া ক্রয়কৃত জমি চাষ করে চারা ধান রোপন করেন।

‎এদিকে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ২০ আগষ্ট (বুধবার) দুপুরে বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিজেদের দাবি করে আব্দুল জলিলের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চারা ধান উপড়ে ফেলে এবং নতুন চারা ধান রোপন করার চেষ্টা করে।

সংবাদ পেয়ে জমি ক্রেতা ফুল মিয়া ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে বসচা হয়। বসার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধলে আব্দুল জলিলের পুত্র গোলাম মোস্তফা (নিহত)সহ প্রতিপক্ষের আজম মিয়া (২৮), তপন মিয়া (৩৫) ও হাফিজুর রহমান (৪৫) গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ আগষ্ট গোলাম মোস্তফা প্রাণ হারায়।

‎মামলার বিষয় নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, এ হত্যা মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।