রংপুরের পীরগঞ্জে বৃদ্ধা দাদীকে হত্যার অভিযোগে নাতি অনিক গ্রেফতার

রংপুরের পীরগঞ্জে বৃদ্ধা দাদীকে হত্যার দায়ে নাতি অনিক হাসান হৃদয় (২০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে ঢাকা সাভারের হেমায়েতপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে বড়ঘোলা গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে ও নিহত আকলিমা বেগমের নাতি।

‎আটক অনিক হাসান হৃদয়ের স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বড়মজিদপুরের রফিকুলের পরিত্যাক্ত রাইচ মিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শনিবার ভোররাতে উপজেলার বড়মজিদপুর থেকে আকলিমা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত বৃদ্ধা আকলিমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল হাকিম মিয়ার স্ত্রী। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের ভাই ওবায়দুল ইসলাম এ হত্যা মামলা রুজু করেন।

‎স্বজরা জানান, বর্ণিত গ্রামে স্বামী-স্ত্রী দুজনে পৃথক ঘরে রাত্রীযাপন করত। শনিবার ভোর রাতের দিকে নিহতের স্বামী আব্দুল হাকিম প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে ঘরের বাহিরে আসলে স্ত্রীর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। তিনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে গলা কাটা অবস্থায় স্ত্রীর নিথর দেহ খাটের উপরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে।

চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে দু’ছেলে রাশেদুল ও শাহিন ছুটে আসেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। নিহতের দু’ছেলে রাশেদুল ও শাহিন জানান, তারা রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় ঘোলা গ্রামের বাসিন্দা। ৮/১০ বছর আগে বড় মজিদপুরে পৃথক বাড়ি নিমার্ণ করে বাবা-মা সেখানে বসবাস করেন।

আমরা বাস্তুভিটা বড়ঘোলায় দু’ভাই বসবাস করি। ছোট বোন পারভিন আক্তার বৈবাহিক সুত্রে স্বামীর বাড়ি পীরগঞ্জ সদরের রামপুরায় থাকে। কারো সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। বাবা-মা ছাড়া ওই বাড়ি[তে কেউ থাকে না।

‎পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত হৃদয় নিহত আকলিমা বেগমের নাতি, বড় ছেলে রাশেদুল ইসলামের ছেলে। হৃদয় শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনযোগে খেজমতপুরে নেমে পড়ে।

রাতেই দাদা-দাদীর গ্রামে আসে। দাদী আকলিমার সাথে রাতের খাবারের পর খোশগল্পের এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়লে দাদিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়।