রংপুরের পীরগঞ্জে শিশু হত্যায় জড়িতদের ফাঁসীর দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

রংপুরের পীরগঞ্জের মিঠিপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ হাটে শিশু আদম মিয়া (৪) হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে এলাকাবাসীর ডাকে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫ সহস্রাধিক লোকের সমাগম ঘটে।

এতে মিঠিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ মন্ডল, কমিউনিষ্ট পার্টির উপজেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, মিঠিপুর ইউ.পি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহফুজার রহমান লুলু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি গোলাম মওলা, ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা আকতারুজ্জামান লাজু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ইব্রাহিম মেম্বর, মাদারগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক উপজেলা বিএনপি নেতা রায়হান কবীর প্রধান, মাদারগঞ্জ নলেজ পাওয়ার কিন্ডার গার্টের অধ্যক্ষ হাসানুর রহমান, মাদারগঞ্জ মীরপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবার রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও নিহত শিশু আদম মিয়ার বাবা জাকারিয়া ও মা গোলে নুর বেগম, দাদী ৭৭ বছর বয়সি জমিলা বেগম ও জ্যেঠা সুজন মিয়া বক্তব্য রাখেন। এ সময় নিহতের স্বজনরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে শুধু শান্তনা দেয়া হয়। পুলিশ পলাতক আসামীদের ধরছে না। পুলিশ স্বজনপ্রীতি করছে। শিল্পী বেগমকে ৭দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ না করে অসুস্থ দেখিয়ে ১দিন পরেই জেলহাজতে পাঠানো হয়। তারা আসামীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবী জানান।

উল্লেখ্য, ৭ জুন (শুক্রবার) জুমার আজানের পর মাদারগঞ্জ হাটের পাহাড়াদার একবারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার শিশুপুত্র চার বছরের আদম হঠাৎ উঠাও হয়। পরদিন ৮ জুন (শনিবার) রাত ১১ টার দিকে সন্দেহভাজন দম্পতি’র বাড়ির সন্নিকটে মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে রানজু মিয়ার পুকুরে নিঁখোজ শিশু আদমের লাশ ভেসে উঠে। নিহত শিশুর পরিবার দাবী মতে পুর্ব শক্রতার জের ধরে নিখোঁজ শিশুটিতে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে প্রতিবেশি মোকসেদ আলী ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম।

এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যুগে যুগে জনগণ সাধারণত পুলিশকেই দোষারোপ করে আসছে, পুলিশ শতভাগ নিখুঁত কাজ করলেও পুলিশকে মানুষ দোষারোপ করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই আসল রহস্য উন্মোচিত হবে। বিজ্ঞ আদালতের নিদের্শনায় ৭দিনের রিমান্ড শেষে শিল্পী বেগমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী মামলার তদন্তকাজ চলছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।