রংপুরের মিঠাপুকুরে কিশোরীর সন্তান প্রসব; প্রেমিক পলাতক
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ কেজি ২ গ্রাম ওজনের ছেলে সন্তান প্রসব করেন।এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক সৈকত পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত অবস্থায় প্রসাব খানায় প্রসাব করতে গিয়ে বাচ্চা প্রসাবকালে কর্তব্যরত সেবিকা ও মিড ওয়াইফ সদস্যরা প্রসূতি বিভাগে নিয়ে গেলে ছেলে সন্তান জন্ম দেন কিশোরী।
সরেজমিনে জানাযায়, বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় পরিবারের সহযোগিতায় ইউটিআই বা প্রসাবের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় কিশোরী। পরবর্তীতে পেটের ব্যাথা হলে মহিলা মেডিসিন বিভাগে নেওয়া হয়,সেখানে মহিলা টয়লেটে গেলে বাচ্চা প্রসবের লক্ষণ দেখে পরবর্তীতে প্রসূতি বিভাগে নিলে ফুটফুটে সুন্দর ছেলে সন্তান জন্ম দেন। কিশোরীর সাথে কথা বলে জানা যায়- দেড় বছর পূর্বে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পুঠিমারী এলাকার সৈকত নামে এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। সৈকত রংপুরে নাম না জানা একটি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হলে পেটে বাচ্চা হওয়ায় ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাচ্চা নষ্ট করতে বলেন। কিশোরী আরোও জানায়-একাধিকবার ছেলের বাসায় গেলে তার পরিবার কোন ধরণের সহযোগিতা কিংবা বিষয়টি কর্ণপাত করেনি। তাদের সম্পর্কের বিষয়ে ছেলের বাবা-মা দুজনেই সহ পুরো পরিবার অবগত আছেন।
মেয়ের দাবী যদি ছেলে তার সন্তানের স্বীকৃতি না দেয় তাহলে তিনি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন। মেয়ের বাবা জানায়- তার সহজ সরল মেয়েকে প্রেমের জালে ফেলে অনৈতিক ভাবে মেলামেশা করায় আজ তার মেয়ে বাচ্চা প্রসাব করছে। এ বিষয় নিয়ে যদি ছেলের পরিবার কোন ধরণের সহযোগিতা না করেন তাহলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ঘটনার পর আর কেউ তার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হবে না বলে তিনি দাবী করেন।
মেয়ের কাছ থেকে ছেলের ফোন নাম্বার নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ছেলে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি তার ভাবিকে দিলে কথা হয় তার সাথে। সৈকতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাড়িতে নেই বলে মোবাইল রেখে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাশেবুল আলম জানান- সকালে পেটের ব্যথা নিয়ে কিশোরী ভর্তি হয়।তার পেটে যে বাচ্চা আছে এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন অবগত করেনি।পরবর্তীতে টয়লেটে গিয়ে প্রসূতির লক্ষণ দেখা দিলে মিড ওয়াইফ সদস্যরা প্রসূতি বিভাগে নিলে সন্তান জন্ম দেন। তবে জানা যায়- মেয়েটি অবিবাহিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন