রংপুরের মিঠাপুকুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদ্রাসা পরিচালকের সংবাদ সম্মেলন

রংপুরের মিঠাপুকুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃক সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ এবং হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৪-জানুয়ারী) দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার গড়ের মাথা সংলগ্ন তানজিমুল কুরআন ক্যাডেট হিফজ মাদ্রাসায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী স্বামী ও তানজিমুল কুরআন ক্যাডেট হিফজ মাদ্রাসার পরিচালক: হেলালুর রহমান হেলাল বলেন, আমার সাবেক স্ত্রী শামীমা সুলতানা সুমি পরকীয়ায় আসক্ত। তার পরকীয়ার বিষয়টি আমি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের জানাই। এমনকি আমি নিজেও তাকে বার-বার সতর্ক করি। কিন্তু আমার সাবেক স্ত্রী শামীমা সুলতানা সুমি আমার কথা অমান্য করে গোপনে তার পরকীয়া প্রেমিক মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক, আইনুল ইসলাম ওয়াহেদীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক বজায় রাখে। এরই জের ধঁরে গত ১১ ডিসেম্বর আমি তাকে খোলা তালাক দেই। তালাক দেওয়ার পরেও শামীমা সুলতানা সুমি আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেয় এবং বৃহস্পতিবার (২-জানুয়ারি) সে আমার পরিচালিত তানজিমুল কুরআন ক্যাডেট হিফজ মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে তার পিতা সহ ভাইকে দিয়ে মিথ্যা তাঁকে আটক রাখার অভিযোগ এনে পুলিশ সহ সাংবাদিকদের নিয়ে হাজির হয়।

তিনি বলেন, শামীমা সুলতানা সুমির এরপূর্বেও তিনটি বিয়ে হয়েছিল। সে আমার প্রথম স্ত্রী হওয়ায় এবং আমার দুটি কন্যা সন্তান থাকায় আমি সংসারটা টিকে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ভাবেই সেটা সম্ভব হয়নি। তার দাবি, তার সাবেক স্ত্রী তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা এবং তাঁকে হেনস্তা করতে মিথ্যা অপবাদে লিপ্ত। এসময় তিনি তার ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় তাকে জড়িয়ে এমন প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরত থাকতে বলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীমা সুলতানা সুমির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত নাম্বারে ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি জানান, আমার বোনকে দীর্ঘদিন থেকে সে আটক রেখে নির্যাতন করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।