রংপুরে কেন্দ্রসচিবের যোগসাজশে প্রক্সিপরীক্ষার অভিযোগ: আটক ১
রংপুরের মিঠাপুকুরে কেন্দ্রসচিবের যোগসাজশে প্রক্সিপরীক্ষা ও নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একজন প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের রাণীপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহ আবুল কাশেম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে আব্দুল কাদের (সুজন) নামে একজন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কোন প্রকার একাডেমিক মডেল টেস্ট ছাড়াই।নিয়ম অনুযায়ী মডেল টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা থাকলেও কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করে কৃষক পেশার এই যুবক।পরববর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে তার চাচাতো ভাইকে দিয়ে শুরু থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিলো এ যুবক এবং কেন্দ্রসচিবের প্রশ্রয়ে প্রশ্নের উত্তরপত্রের সমাধান করে ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রতিদিনের বাংলাদেশের মিঠাপুকুর প্রতিবেদক মোঃ মিল্লাত হাসান ও বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার মিঠাপুকুর প্রতিনিধি শাহ আলমকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে রানীপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহেল কাফী।কেন্দ্রসচিব বলেন শিক্ষা অফিসের লিখিত অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্রে কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবে নাহ।এই বলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী শাহ আলমের হাত ধরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
এমন অসৌজন্যমূলক আচরণের পর সংবাদকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রক্সি দেয়াকালীন দৌলতপুর মানিকগঞ্জের পারুলিয়া গ্রামের সাবিকুল হাসান (১৮) কে আটক করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানায়,এসএসসি পরীক্ষার সেণ্টার হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রসচিব অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহেল কাফি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে নানান অনিয়ম করে আসছে।পরীক্ষার হলে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে স্থানীয়রাও বেজায় খুশি।এজন্যই তার বিরুদ্ধে হয়না কোন অভিযোগ।
শাহ আবুল কাশেম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে সহযোগিতার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন এ দায় সম্পূর্ণ কেন্দ্রসচিব ও ডিউটিরত শিক্ষকদের।এটা তাদের ব্যর্থতা।নিয়ম মেনেই পরীক্ষার্থীকে ফরম পূরণের সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।প্রক্সি পরীক্ষার বিষয়ে আমার জানা ছিলো নাহ।
মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান,পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।সাংবাদিকদের বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান,প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার দায়ে একজনকে এক মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।সাংবাদিকরা নিয়ম মেনে পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।এ বিষয়ে কোন বিধি নিষেধ দেয়া হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন