রংপুরে ডিবি পরিচয়ে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
রংপুরে ডিবি পরিচয় দিয়ে ছাত্রাবাসে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা খামারবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে প্রায় ১০লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহমান নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই প্রতারক রংপুর নগরীর জুম্মা পাড়া করিমিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় থাকেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার খোদ্দ কুমরপুর এলাকার আনছার আলীর ছেলে সোহেব আলী ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব সুখাতী এলাকার বাসিন্দা মোবারক আলীর ছেলে মিজানুর তারা উভয়ে রংপুরে ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন।এরই এক পর্যায়ে পীরগাছা উপজেলার আমিনটারী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে আলমগীরের সাথে পরিচয় হয় রংপুর নগরীর চকবাজার এলাকায়।
আর এই আলমগীর মিয়া ডিবি হিসেবে পরিচয় করে দেন প্রতারক আবদুর রহমানকে এবং তাঁরা অল্প সময়ে সবার সাথে ভালো সখ্যতা গড়ে তোলে। সেই সুযোগে ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকুরী নিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় আব্দুর রহমান।
চাকরি দেয়ার কথা বলে গত ২০২২ ও ২০২৩ সালে ডাচ বাংলা ও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় । এছাড়াও ভুয়া নিয়োগ পত্র দেয়ার সময় নগদ আরো ৩ লাখ হাতিয়ে নেয় প্রতারক আবদুর রহমান।পরবর্তীতে ওই নিয়োগ পত্র নিয়ে চাকুরীতে যোগদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানা যায় তাদের দেয়া নিয়োগ পত্র ভুয়া।
ভুক্তভোগী সোহেব আলী প্রতিবেদককে বলেন, আমরা তৎক্ষণাৎ আবদুর রহমানকে ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি,যা আজ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন যথাযথ আমলে নেয় নাই।
সোহেব আলীর মা প্রতিবেদককে বলেন,আমার ছেলের ওই চাকরির জন্য অনেক দামি জমি আমাদের একমাত্র অবলম্বন যা খুব অল্প দামে বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি। আজ এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথের ভিখারি হয়ে গিয়েছি। তিনি বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট বিচার চেয়েছেন।
এই সব অভিযোগের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আবদুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,হ্যা আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। তবে এদের টাকা আমি যে ব্যাক্তিকে দিয়েছি সেই ব্যক্তি আমার সাথে বেঈমানি করেছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাকিন বিল্লাহ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আমরা বিষয়টি যথাযথ আমলে নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখছি, এবং ওই প্রতারকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন