রংপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়
রংপুরের মিঠাপুকুরে জায়গীর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এইচ এসসি পরীক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষায় মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভেতরে ক্ষোভ থাকলেও ব্যবহারিকে কম নম্বর পাওয়ার শঙ্কায় প্রতিবাদ করছেন না কেউ।এর আগে ফরম পূরণে ৫,০০০ টাকা আদায় করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে।প্রবেশপত্র বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা হারে নেয়া হয় বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জায়গীর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দ্বিতলা ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছে।প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ৪/৫ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে ব্যবহারিক পরীক্ষার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা শিক্ষার্থীরা জানায়,স্যাররা কলেজ থেকে খাতা দিয়ে ৩০০ টাকা করে নিয়েছে ও পরীক্ষার বোর্ড খরচের কথা বলে ২০০ টাকা করে নিয়েছে।এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে দায়িত্বরত শিক্ষক রাখু জানান,আপনারা প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে বসেন।পরীক্ষা শেষে আপনাদের সঙ্গে কথা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, ফরম পূরণ, প্রবশপত্র ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি সহ প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা গুনতে হয়েছে।আবার ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। অস্বচ্ছল পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ ধার-দেনা করে টাকা দিয়েছে। ব্যবহারিকে নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
জায়গীর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনিসুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি ব্যস্ত আছি।আপনারা এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান,পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা জানি না।ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের নিয়ম আছে কিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।আপনারা বোর্ডের মাধ্যমে এ বিষয়ে জেনে নিন। তিনি আরো জানান,কেন্দ্র সচিবকে বলুন অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে বিষয়টি জানান।
দিনাজপুরের শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর সঃ মঃ আব্দুস সামাদ জানান,ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ অতিরিক্ত ফি নেয়ার কোন বিধান নেই।পরীক্ষার যাবতীয় ফি আমরা এইচ এসসি ফরম পূরণের সময়েই নিয়ে নিয়েছি।যদি কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে এ দায় সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নিবেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রশ্ন উঠেছে লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কি তাহলে প্রতিকার হবেন না এই অনিয়মের।ব্যবহারিকে কম নাম্বারের ভয়ে প্রকাশ্য লিখিত অভিযোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পরীক্ষার্থীবৃন্দ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন