‎রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাটডাউন ঘোষণা, ৬ দফা দাবীতে ভবনে তালা

‎রংপুরের পীরগঞ্জে অবস্থিত ‘রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক সংকট, সেশনজট, অব্যবস্থাপনা এবং ল্যাব ইন্সট্রাক্টর সংকটসহ ৬ দফা দাবিতে ক্লাস,পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষনা করেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন চলমান থাকবে বলে ঘোষনা দেন।

‎আন্দোলনের ফলে সোমবার থেকে ওই কলেজে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবারেও শিক্ষার্থীরা মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নই, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী। আমাদের এই আন্দোলন শিক্ষার ন্যায্য অধিকারের জন্য। বুটেক্স অধিভুক্ত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোতে প্রত্যেক ক্যাম্পাসে পাঁচশ’র অধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে গড়ে মাত্র ৯ জন শিক্ষক নিয়ে খুড়িয়ে-খুড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

‎গত ক’মাস আগেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে বস্ত্র মন্ত্রণালয় ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ শিক্ষক সংকট নিরসনের আশ্বাস দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং নতুন-নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠা করে পুরাতন কলেজ থেকে শিক্ষক সংযুক্তি করে চলছে কলেজগুলো। ফলে বুটেক্স ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গড়ার নামে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন করছে।

সোমবার দিনে মানববন্ধন ও রাতে মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থী নাজিউর রহমান বলেন, এই সমস্যা শুধু আমাদের কলেজের নয়, দেশের সব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিরাজমান। আমরা দ্রুত শিক্ষক সংকট নিরসন চাই। এছাড়া বুটেক্স এর অবহেলায় আমাদের ৬ মাসের সেমিস্টার শেষ করতে ৭ থেকে ৮ মাস লাগছে। মার্কশিট, সাপ্লিমেন্টারী ও ইম্প্রুভমেন্ট এর কোন সিস্টেম নেই। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই অব্যবস্থাপনার অবসান চাই।

শিক্ষার্থী প্রবীর সরকার মিশুক জানান, এই ভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই বাধ্য হয়েই মাঠে নেমেছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষনা দেন শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে, বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিংয়ে আছি- বলেই ফোন কেটে দেন।