রমজান মাস, তাই মুসলিমদের মতো রোজা রাখতে হচ্ছে হিন্দু ছাত্রদেরও
রমজান মাস, তাই হোস্টেলের ক্যান্টিনে মিলবে না সকালের খাবার৷ মিলবে না দুপুরের খাবারও৷ তাই বাধ্য হয়েই রোজা রাখতে হচ্ছে হিন্দু ছাত্রদের৷ এমনই অভিযোগ উঠল ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরেছেন একাধিক মানুষ৷
অভিযোগ, রমজান শুরু হতে না হতেই বদলে গিয়েছে হোস্টেলে খাবার পরিবেশনের নিয়ম৷ ভোররাত আড়াইটে নাগাদ দেওয়া হচ্ছে দিনের প্রথম খাবার৷ এরপর সারা দিনে আর ক্যান্টিনে কোনও খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে না৷ সূর্যাস্তের পরই ফের খাবারের হদিশ পাচ্ছেন অমুসলিম ছাত্ররা৷ কেউ কেউ নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজেই করে নিচ্ছেন বিস্কুট, ম্যাগি বা অন্যান্য শুকনো খাবারের মাধ্যমে৷ কেউ অগত্যা লেবুজল খেয়ে উপবাস করেই কাটিয়ে দিচ্ছেন৷ এর বিরুদ্ধেই অনেকে সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও কাজের সময়ের নয়া নির্দেশিকা চোখে পড়েছে৷ যেখানে ভাইস-চ্যান্সেলারের অনুমোদিত বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে৷ যাতে বলা হয়েছে রমজানের মাসে শুক্রবার বাদে সপ্তাহের প্রতিটা কাজের দিনে সকাল আটটা থেকে দুপর আড়াইটে পর্যন্ত কাজ করা হবে৷ আর জুম্মাবারে কাজ হবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত৷ এই সময়ের মধ্যে কোনও খাবার পরিবেশন করা হবে না৷ কেবল শিক্ষার্থীরা নয় সকল শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য৷
এক সর্ব-ভারতীয় সংস্থার কাছে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সহ-সভাপতি নদিম আনসারি৷ তিনি বলেন, অতীতেও এমনটা হয়েছে৷ এমনটাই হয়ে এসেছে এতদিন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা রমজানের মাসে এভাবেই নিজেদের খাবার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন৷ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সামনেই তোলা হয়েছিল৷ তবে লিখিতভাবে কিছু হয়নি৷
তিনি জানান, এটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এখন চর্চা শুরু হয়েছে৷ এব্যাপারে বর্তমান বিজেপি সরকারের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি৷ তবে অভিযোগকারীদের দাবি, এতদিন হয়েছে মানে এই নয় এখনও এই বৈষম্যমূলক আচরণ চলবে৷ অবিলম্বে এই ব্যবস্থা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন তারা৷
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন