রাখাইনে গণকবরের কথা স্বীকার করল মিয়ানমার সেনা
এতোদিন অস্বীকার করে আসলেও এবার মিয়ানমারের রাখাইনে একটি গণকবর খুঁজে পাওয়ার পর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মংডুর এক গ্রামের কবরস্থানে পরিচয়বিহীন লাশগুলো পাওয়া গেছে। যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে এটি তার অন্যতম।
তবে কত লাশ সেখানে পাওয়া গেছে এবং তারা কোন সম্প্রদায়ের মানুষ তা বলা হয়নি। ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যদি নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানায়, মিয়ানমারে গত আগস্টে সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করার পর প্রথম মাসের সহিংসতায় অন্তত ৬ হাজার ৭ শ’ রোহিঙ্গা মারা যায়। যদিও মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোনোরকম নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
তারা বলছে, শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির সদস্যদের লক্ষ্য করে তারা অভিযান চালিয়েছে। সেখানে মাত্র চারশত লোক মারা গিয়েছে।
মিয়ানমারে ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী তাদের সহিংস অভিযান শুরু করার পর ব্যাপক নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জেইদ রাদ আল হুসেইন ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা তাদের বিভিন্ন রিপোর্টে মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হত্যা, গণধর্ষণ ও রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে এসব নির্যাতন জাতিগত নিধনের সামিল।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার কারণে দেশটির বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন