রাখাইনে হিন্দু রোহিঙ্গাদের ওপর কারা হামলা করছে?
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ফকিরাবাজারে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু রোহিঙ্গাদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানায় দেশটির সরকার। সেই গণকবরে অন্তত ৪৫টি মৃতদেহ মিলেছে বলে তারা দাবি করে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা খুবই নগন্য। তবে তারাও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মতো বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। মংডুর ফকিরাবাজারের হিন্দু রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, কয়েকজন কালো মুখোশ পরা অস্ত্রধারী গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হিন্দুদের হত্যা করেছে। পরে মৃতদেহগুলো পুঁতে ফেলেছে।
গত দেড় সপ্তাহে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাতে শুরু করেছে। উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু রোহিঙ্গারা এ হত্যাযজ্ঞের জন্য শুধু মুসলিম সন্ত্রাসীদের দোষারোপ করছেন। এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একদল রোহিঙ্গা হিন্দু নারী দাবি করেন, তাদের জোর করে মুসলমানরা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। এমনকি জোরপূর্বক তাদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক সাংবাদিকও এক নারীর সাক্ষাৎকার নেন। তার কাছেও তিনি দাবি করেন, তাকে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হয় এবং বোরকা পরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু নারীরা বৌদ্ধদের হামলার কথা জানিয়েছিলেন। তবে পরে তাদের মধ্যে তিনজন বক্তব্য পাল্টে ফেলেন। তারা দাবি করেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের ওপর হামলা করেছে। তারাই নাকি বৌদ্ধদের দোষ দিতে বলেছে।
মিয়ানমার সরকার ঘোষণার পর একদল বিদেশি সাংবাদিকও সেখানে গিয়েছিলেন। তারা এক গ্রামে বেশকিছু মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞে ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) জড়িত বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। তবে এ বিষয়টি প্রমাণ করা যায়নি, কারণ সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়ায় একটি হিন্দু মন্দিরের পাশে কয়েকজন হিন্দুকে দেখতে পান এক সাংবাদিকরা। তাদের বেশিরভাগই মংডুর চিকনছড়ি, ফকিরাবাজার ও বালিবাজার থেকে পালিয়ে এসেছে। তারা জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্তের হাত থেকে বাঁচতেই পালিয়ে এসেছেন। হামলার সময় দুর্বৃত্তরা কালো মুখোশ পড়ে থাকতো। তাদের ধারণা, ওই দুর্বৃত্তরা আসলে রোহিঙ্গা মুসলিম।
পূজা মল্লিক নামে এক হিন্দু নারী দাবি করেন, ‘মুসলিম সন্ত্রাসীরা হিন্দুদের ওপর চড়াও হয়েছে। কারণ মিয়ানমার সরকার আমাদের নাগরিকত্ব দিয়েছে কিন্তু মুসলমানদের দেয়নি। গত ২৫ আগস্ট কালো মুখোশধারী এক ব্যক্তি আমার স্বামীকে হত্যা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলিমদের আমাদের মতো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। কিন্তু মুসলিম রোহিঙ্গারা মগদের মতো প্রথম শ্রেণির নাগরিকত্বের দাবি করে আসছিল।’
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে তিন ধরনের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া সেখানে ‘প্রকৃত নাগরিক’ ও ‘গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসী’দের গ্রিনকার্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন হিন্দু রোহিঙ্গা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রাখাইনে মুসলিম নিধনে অংশ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে তারা বাবা ও স্বামীকে হারিয়েছেন।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘হিন্দুরা মুসলিম রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। এদেশে এসে তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মূলত বৌদ্ধরাই তাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের কাছে তাদের বক্তব্যের অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।’
গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আনিকা ধর নামে অন্তসত্ত্বা এক হিন্দু নারী রোহিঙ্গা দৈনিক নিউ এজকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা ও তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার কাজে অংশ না নেওয়ায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।’
তিনি রয়টার্স টেলিভিশনের এক সিনিয়র সাংবাদিককে বলেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যা করা হলে আমি পার্শ্ববর্তী এক মুসলিম গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি।’
গত ৩০ আগস্ট বাংলাদেশে পালিয়ে আসা পদ্মা বালা নামে অন্য এক হিন্দু নারী রোহিঙ্গা রয়টার্স টেলিভিশনকে বলেন,‘মগরাই আমাদের (হিন্দুদের) গলাকেটে হত্যা করছে।’
রয়টার্সের ওই সাংবাদিকের কাছে তার এ বক্তব্যের অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।
অনেক রোহিঙ্গা হিন্দু জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে তারা পার্শ্ববর্তী মুসলমানদের কাছ থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছেন।
আরিমোহন রুদ্র নামে এক রোহিঙ্গা হিন্দু ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অস্ত্র, বোমা এবং ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে কালা পার্টির (মগ) সদস্যরা বাড়িতে আমাদের টানা পাঁচদিন অবরুদ্ধ করে রাখে। কিন্তু আমরা আমাদের এক মুসলিম প্রতিবেশীর সহযোগিতায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমানে ৬০৭ জন হিন্দু আশ্রয় নিয়েছেন।’
রোহিঙ্গা মুসলিমরা যা বলছেন: মুসলিম রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে গ্রিন কার্ডধারী হিন্দু রোহিঙ্গারা মুসলমানদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে। তারা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে পারে, সরকারি চাকরি করতে পারে, সরকারি হাসপাতালে সেবা পায়, স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারে এবং ভোটাধিকার আছে।
মুসলমান রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের পূর্ণ নাগরিকতার স্বীকৃতি, রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি এবং এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে বসবাস করার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের দাবির কোনোটাই পূরণ করা হয়নি।
মুসলিম রোহিঙ্গারা মনে করেন, ‘ভাঙো এবং শাসন করো’ এটা মিয়ানমার সরকারের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। মূলত রোহিঙ্গাদের দুটি ধর্মীয় গ্রুপের (হিন্দু ও মুসলিম) মধ্যে রাগ এবং ঘৃণা সৃষ্টি করতেই এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কক্সবাজারে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া হাসু মিয়া নামে এক মুসলিম রোহিঙ্গা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা (হিন্দু ও মুসলিম) প্রায় একশ বছর ধরে আমাদের গ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। আমাদের ধর্মীয় ভিন্নতার কারণে কখনও কোনও সমস্যা সৃষ্টি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর গত সপ্তাহে কুতুপালং বাজারে আমার এক হিন্দু প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা হয়। তিনিই প্রথমে আমাকে শনাক্ত করেন এবং আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন। তখন আমরা দুজনই অনেক কেঁদেছিলাম।’
অনেক রোহিঙ্গা মুসলিমরা অভিযোগ করেন, সংঘাত শুরুর পর থেকে কিছু কিছু হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও রাখাইন মিলিশিয়াদের পক্ষ অবলম্বন করছে।
আবদুস সালাম নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘মিয়ানমারে মুসলিম নিধনে দেশটির সেনাবাহিনী ও মগদের সহায়তা করছে হিন্দুরা। তারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাড়ি লুট ও জ্বালিয়ে দিতে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে। কারণ তারা স্থানীয় মুসলিম ও তাদের ঘরবাড়ি খুব ভালোভাবে চেনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক মাসে রাখাইনে হিন্দু ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে।’
হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি: রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী গ্রুপ আরসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযোগের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে। হত্যা, নিপীড়ন কিংবা মংডু জেলার ফকিরাবাজার, রিক্তাপুর, চিকনছাড়ি গ্রামে জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ অকপটে অস্বীকার করেছে এ সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, ২৫ তারিখ কিংবা এর কাছাকাছি সময়ে সংঘটিত এসব ঘটনায় তাদের দলের কোনও সদস্য জড়িত নয়। তাহলে রাখাইনের হিন্দুদের কারা হত্যা করলো? রোহিঙ্গারা বলছেন, মূলত নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলার পর থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। হত্যাকাণ্ডের সময় কারও ধর্মীয় পরিচয়কে আমলে নেওয়া হয়নি।
গত আগস্টে আরসার সদস্য মোহাম্মদ আয়েস নামে এক ব্যক্তি ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একটা গেম খেলছে। বৌদ্ধ ও সরকারি এজেন্টরাই মূলত হিন্দু গ্রামগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে। যাতে সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে মুসলমানদের উৎখাত করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এ দ্বন্দ্বে সরকার হিন্দুদের পক্ষ নিচ্ছে। কারণ সরকার তাদের জন্য কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, আরসা সদস্যদের কোনও নির্দিষ্ট পোশাক নেই। সুতরাং মুখোশ পড়ে তাদের পরিচয় গোপন করার কোনও প্রয়োজন নেই। যারা মুখোশ ব্যবহার করে হামলা করছে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন করতে চাচ্ছে। এটা মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র। সেনাবাহিনীই এ ষড়যন্ত্র করছে কারণ তারা প্রমাণ করতে চাইছে রাখাইনে তারা যা করছে তা বৈধ এবং প্রয়োজনীয়।’
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘মুসলমানরা যদি হিন্দুদের ওপর হামলাই করবে তবে তারা (হিন্দু) কেন মুসলমানদের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে?’
মোহাম্মদ আয়েসের অভিযোগ, ‘হিন্দু রোহিঙ্গাদের ইতোমধ্যে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আছে। এমনকি সেদেশের সরকারও তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাই তারা সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে মুসলমানদের দোষারোপ করছে।’
আরসার অন্য একজন জিম্মাদার (কমান্ডার) বলেন, মিয়ানমারে যে গণকবর পাওয়া গেছে সেটা মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদেরই হতে পারে। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী এসব মৃতদেহ দেখিয়ে হিন্দু নাগরিকদের কাঁদতে বাধ্য করছে। তারা প্রমাণ করতে চাইছে মৃতদেহগুলো মূলত হিন্দু নাগরিকদের আত্মীয়-স্বজনদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনা সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত গণহত্যা তদন্ত করতে জাতিসংঘ এবং অন্যরা রাখাইন রাজ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ তারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের মৃতদেহ গণকবর দিয়েছে। তাই সেখানে যদি কোনও তদন্ত চালানো হয় তবে নিশ্চিতভাবে দেশটির সেনাবাহিনী অভিযুক্ত হবে। তাই তারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের মৃতদেহকে হিন্দু বলে প্রচারণা চালাচ্ছে।’
‘আমরা ভারতে যেতে চাই’
অন্য জায়গায় না গিয়ে কেন বাংলাদেশে এসেছেন-এমন এক প্রশ্নের জবাবে কক্সবাজারের হিন্দু ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ভুবন পাল নামে এক হিন্দু রোহিঙ্গা বলেন, ‘ধারণা ছিল রাখাইনের সব মুসলমান আমাদের বিরুদ্ধে। তাই আমরা বাংলাদেশে চলে এসেছিলাম, কারণ বাংলাদেশ অনেক কাছে। নির্মল ধর নামে আমাদের এক নেতা জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ আমাদের জন্য বেশি নিরাপদ এবং সেখানে গেলে তিনি আমাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।’
রাখাইন রাজ্য সরকারের হিন্দুদের ফিরে যাওয়ার আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন হিন্দু রোহিঙ্গা জানান, তারা মিয়ানমারকে নিরাপদ মনে করেন না এবং তারা ভারতে চলে যেতে যান।
হিন্দু ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া এক নারী বলেন, ‘ভারতে যেতে পারলে আমি বেশি স্বস্তিবোধ করবো। মিয়ানমারকে আমরা নিরাপদ মনে করি না।’
এদিকে মিয়ানমারে হিন্দুদের গণকবর শনাক্তের পর দেশটির সেনাবাহিনী সরকারকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়। এটা প্রকাশ হওয়ার পরই ভারত তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাবিশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আমরা তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযু ক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।’-ঢাকা ট্রিবিউন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন