রাঙামাটিতে টানা ভারী বর্ষণে, পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ছে, প্রশাসনের সতর্কতা জারি

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় এ পরিস্থিতিতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে প্রশাসন।
পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসসহ স্বেচ্ছাসেবীরা মাইকিং করছে।
রবিবার (১ জুন) দুপুরে ভেদভেদী লোকনাথ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় পরিদর্শন করেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, রাঙামাটিতেও মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে জেলার ১০ উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে বৈঠক করেছি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে, রাঙামাটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৬৭২। রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ভেদভেদী লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্র ও রিজার্ভ বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪১ জন অবস্থান করছে।
এদিকে, গত বুধবার থেকে রাঙামাটিতে ভারী ও মাঝারি আকারে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের প্রভাবে ছোট-ছোট পাহাড়ের ধসের খবর পাওয়া গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারী বর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চলও পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং কৃষিজমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং নদীর পানি বেড়ে গিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রাঙামাটি জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন