রাঙামাটিতে পাচারের সময় কাঠভর্তি বাসসহ আটক ১

রাঙ্গামাটি জেলা থেকে অবৈধভাবে বিপন্ন গাছ পাচার হচ্ছে। রাঙামাটি থেকে বাসভর্তি বিক্রয় নিষিদ্ধ চিড়াই কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় কাঠসহ একজনকে আটক করেছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

(২৮ ডিসেম্বর) শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাঙামাটি থেকে বাসভর্তি করে বিক্রয় নিষিদ্ধ চিড়াই কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় মানিকছড়ি চেকপোস্টে লাখ টাকা মূল্যের চিড়াই কাঠ আটক করেছে বনবিভাগ। এসময় বাসচালক সেলিমসহ বাসটিও আটক করেছে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, ‘মধ্যরাতে এবি এন্টারপ্রাইজ নাইচ ট্যুর নামের একটি বাস কোনো যাত্রী ছাড়াই দরজা-জানালা বন্ধ করে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়ার সময় মানিকছড়ি চেকপোস্টে আমরা গাড়িটিকে থামাই। গাড়ির ভেতরে বিশেষভাবে গুটগুটিয়া, কনক গাছের চিড়াইকৃত ৭ ফুট লম্বা ৫৫টি কাঠ পাওয়া যায়।

এসময় আমরা চালক সেলিমকে গাড়িসহ আটক করে কার্যালয়ে নিয়ে আসি।’ এই ঘটনায় বন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আটককৃত চালক সেলিম জানান, ‘গাড়িটির মালিক রাউজানের মানিক কোম্পানি। রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের বাস স্টেশন সংলগ্ন নিচের রাস্তার জনৈক হাসান এই কাঠগুলো বৈধ কাগজ আছে জানিয়ে গাড়িতে তুলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া করেন। তিনি নিজেও গাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু মানিকছড়িতে গাড়িটি আটকানোর সাথে সাথেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যান।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, পার্বত্য জেলা রাঙামাটি থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাঁচার হচ্ছে অবৈধভাবে পাহাড়ের বনাঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হতে যাওয়া বিক্রয় নিষিদ্ধ গাছ। এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এসকল অপকর্ম করে সিন্ডিকেট চক্র।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও বনবিভাগের নজরদারি বৃদ্ধি করায় সিগারেট, রসুন, কাঠসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আটক হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাও দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।