রাঙামাটিতে ফুল ভাসিয়ে শুরু বৈসাবি’র আনুষ্ঠানিতা

পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শুরু হয়েছে বৈসাবির মূল আনুষ্ঠানিকতা। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম এ সামাজিক আয়োজনে এখন মুখর শহর, নগর আর পাহাড়ি পল্লীগুলো।
কাপ্তাই হ্রদের তীরে হাজির হয়েছেন ঐতিহবাহী পোশাকে ফুল, পাতা নিয়ে শত-শত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী। পানিতে ফুল ভাসিয়ে নিজ পরিবার এবং দেশ তথা সমগ্র জীবের মুক্তির জন্য গঙ্গা দেবীর নিকট প্রার্থনা করা হয়।
পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ বেদনাই যেন ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালালেন পাহাড়ের মানুষ।
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু, সাংক্রান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, চিরাচরিত ঐতিহ্য এবং প্রথাগতভাবে আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করার জন্য ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে দিবসটিকে উদযাপন করি।
পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো দিনের বেদনা ভুলে নতুন দিনের প্রত্যয়ের কথা জানায় ফুল ভাসাতে আসা পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা। তারা বলেন, পানিতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে আমরা গঙ্গা মাকে শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ফুল হচ্ছে একটা পবিত্র জিনিস।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বৈসুক, মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই এবং চাকমাদের ‘বিঝু’, তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষু, অহমিয়ারা বিহু এসব অনুষ্ঠান মিলে বৈসাবি। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি জনগোষ্ঠী নিজেদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাস থেকে নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন