রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় আরোও আটক ৩

খাগড়াছড়িতে মামুন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অনিক নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার পর পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযানে নামে।

বুধবার রাঙামাটি পুলিশ অনিক চাকমা হত্যার দায়ে মো. জালাল (২৫) নামে এক যুবককে চাঁদপুর থেকে আটক করে। একই দিনে পুলিশ রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুপম চাকমা (২৫) এবং সজিব চাকমা (২৭) নামে আরও দুই যুবককে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে আটক করে।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটকৃতদের বুধবার বিকেলে রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ণ কমল সেনের আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে অনিক হত্যার অভিযোগে গত ০৪ অক্টোবর খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে মো. রুবেল এবং ০৫ অক্টোবর রাঙামাটি শহর থেকে মো. আবরারকে আটক করেছিল। অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের ঘটনায় ০৫ অক্টোবর জেলা শহর থেকে মো. আরিফুল এবং মো. রাকিব নামের আরও দুই যুবককে আটক করেছিল পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে খাগড়াছড়িতে মামুন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিলেন।