রাঙ্গামাটিতে রমজানের শুরুতে নিত্য পণ্যের বাজার দর


রমজানের বাজারের কেনাকাটা সেরে নিতে ব্যস্ত লোকজন। কিছু পণ্যের বাজার ঠিকঠাক থাকলেও বেড়েছে লেবু, শসা দাম। মাছ, মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
রবিবার (২ মার্চ) রাঙ্গামাটি শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে স্বাভাবিক হয়নি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ। বাজারে সয়াবিন তেল কম পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও তেলের চড়া দাম।
তবে আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার রাঙ্গামাটিতে এখন পর্যন্ত কিছুটা স্বস্তিতে রমজানে সবজির বাজার করতে পারছেন সাধারণ মানুষ।
বনরূপা বাজারে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কয়েক দিন আগেও যে লেবুর হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এখন সে লেবুর হালি ৬০-৮০ টাকা। শসা কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শসা গত ২/৩ দিন আগে ৩০ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে।
টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা দরে। তবে এখনও স্থিতিশীল রয়েছে শীতকালীন সবজির বাজার। আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম।
খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-১১শ টাকা। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০- ১২০ কেজি দরে, মটর ৭০ টাকা, পিঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, রসুন ১৭০-১৩০ টাকা,আদা ২০০-২৫০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে, ধনিয়া ৪০০-৫০০টাকা।
সাধারণ মানুষের আমিষের অন্যতম অনুসঙ্গ মাছ, মুরগির দামও বাড়তির দিকে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। রবিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৭০-১৮০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৮০-৩৫০ টাকা হয়েছে। রবিবার বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাছের বাজারেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। নদীর মাছের দাম বেড়েছে আরও বেশি।
ক্রেতা মোঃ সাইফুল আলম বলেন, রোজা আসার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটা কম থাকে। প্রতিবছরই যেই রমজান আসে সাথে সাথে দ্রব্যমূলের দাম বৃদ্ধি পায়। সয়াবিন তেল দম চড়া। তার মধ্যে দোকানে ঠিক মতো পাওয়াও যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র কৃষি বিপনণ কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, এবছর সবকিছুর দাম স্বাভাবিক আছে মনে হচ্ছে। কিছু জিনিসের দাম সামান্য বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের দাম সীমিত রাখতে জেলা প্রশাসক ব্যবসায়িদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তারপরেও কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়ে দিয়েছেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন