রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে রাঙামাটির সাজেকে ১৪০০ পর্যটক আটকা পড়েছে। তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। পার্বত্য জেলায় বিরাজমান বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাজেকে আগামী ৩ দিন সব ধরনের পর্যটকদের না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সভায় পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন,‘সংঘাত সৃষ্টিকারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।’

সভায় পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ, সিভিল সার্জন ডঃ নুয়েন খীসা, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রামেশ্বর দাস, এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফী, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, জেলা শিক্ষা অফিসার মৃদুল কান্তি তালুকদার, জেলা অটোরিক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু), সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি গণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে পাহাড়ি ছাত্র জনতার ডাকা ৭২ ঘন্টার অবরোধের কারণে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সেনাবাহিনী পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় ফিরতে শুরু করেছে।

সকাল থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় আটকা পড়া পর্যটকবাহী পিকআপ-চাঁদের গাড়িসহ অনান্য গাড়ী ১১২টি, সিএনজি ২৩টি ও মোটরসাইকেল ১০৯টি পরিবহনের মাধ্যমে সাজেক থেকে ড্রাইভারসহ প্রায় ১৫০০ জন পর্যটকদের সরিয়ে নেয়া হয়।

এর আগে সোমবার দুপুরে ব্যক্তিগত খরচে মেঘনা এভিয়েশন গ্রুফ এর ৪টি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা ফিরে যান অর্ধশতাধিক পর্যটক।