রাজধানীতেও পরিবহন সংকট, বাসে তল্লাশি
সপ্তাহের কর্মদিবসের প্রথম দিন রাজধানীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলোর সংখ্যা হঠাৎ করে কমে গেছে। ফলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী মানুষ।
আজ রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণি, গাবতলী, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যায়।
পরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিভিন্ন বাসস্টপে অপেক্ষা করতে দেখা যায় শত শত মানুষকে। কিন্তু ভিড়ের চাপে অনেকেই পরিবহনে উঠতে পারছেন না।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় রোকন নামের এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁর অফিস শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও বাস পাননি তিনি। ফলে সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
কোলে শিশু নিয়ে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন তাসলিমা নামের এক নারী। তিনি জানান, সন্তানের চিকিৎসার জন্য শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যাবেন তিনি। কিন্তু গণপরিবহন না পাওয়ায় যেতে পারছেন না।
জাকিরুল ইসলাম নামের একজন জানান, টেকনিক্যাল মোড়ে সকাল ৯টা থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি মতিঝিলে একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন। প্রতিদিনের মতো আজও তিনি যথাসময়ে অফিসের উদ্দেশে বের হন। কিন্তু আজ রাস্তায় বাসের পরিমাণ কম। কী কারণে হঠাৎ করে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা কমে গেছে, তা জানা নেই তাঁর।
কল্যাণপুর ওভারব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা জুয়েল রানা নামের এক ব্যক্তি বলেন, ঘণ্টাখানেক ধরে গুলিস্তান যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসের জন্য অপক্ষা করছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই রোববার রাস্তায় লোকজন ও বাসের চাপ বেশি থাকে। কিন্তু আজ উল্টো চিত্র। লোকজন থাকলেও গণপরিবহন তেমন নেই। ফলে অনেকে হেঁটে, রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছেন।
তবে রাস্তায় গণপরিবহন তেমন না থাকলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবহন চলতে দেখা গেছে।
প্রবেশমুখে বাসে তল্লাশি
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজের পাশেই বাসসহ সব গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে থামিয়ে এ তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
তল্লাশির সময় দুই থেকে তিনজন পুলিশ সদস্য পরিবহনের ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিটি যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ মালামাল তল্লাশি করে দেখছেন।
এ বিষয়ে আজিজ বেপারী নামের এক পরিবহন শ্রমিক জানান, পুলিশ সকাল থেকেই ব্রিজের নিচে এই অভিযান চালাচ্ছে। তারা যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে গাড়ি চালাতে কোনো নিষেধ করা হচ্ছে না। কিন্তু পুলিশের এই হয়রানির শিকার হয়ে অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও রাজধানীর সাভার, নবীনগর ও গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলোতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, বিশেষ কোনো কারণে নয়, বরং এটি পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে বাড়ছে জনসমাগম।
রোববার সকাল ১০টায় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও মূল আয়োজন শুরু হবে দুপুর ২টায়। কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সমাবেশ।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছাবেন দুপুর ২টার পর। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১ মে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। গতকাল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমাবেশে খালেদা জিয়া গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন