রাজধানীতে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার মূল আসামি ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবুকে (৩৭) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।

বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন।

এর আগে, আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা- মূল আসামি ছাত্রদল নেতা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে’ শিরোনামে গত সোমবার (২৯ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিসি আশরাফ হোসেন বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবুকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে আজ রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গত ১৭ আগস্ট নিহত হাবুর ভাই মো. বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত গ্রেফতার পাঁচ আসামি হলেন- প্রধান আসামি মুশফিকুর রহমান ফাহিম, ফালান ওরফে কানা ফালান, মো. সেলিম, মো. আল আমিন ও সুজন আকন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন মাতুব্বর বলেন, গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে ফালান, সেলিম ও আল আমিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মূল আসামিকে ডিবি গ্রেফতার করেছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. শাকিল, মজে ওরফে মজো, মো. কবির, মো. সামু, মো. পারভেজ, বাবু ওরফে দাড়িওয়ালা বাবু ও সুজন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিক হাবু কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। গত ১৬ আগস্ট দিনগত রাতে দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে শহীদ ফারুক সড়ক এলাকায় পৌঁছালে ফাহিমসহ কয়েকজন তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আবু বকর সপরিবারে যাত্রাবাড়ী এলাকার টানপাড়ায় থাকতেন। তার তিন ছেলে রয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার নান্দায়।