রাজধানীতে ফাইজার টিকা দেওয়া শুরু, ৩ কেন্দ্রে ভিড়

রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টিকা নিতে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করছেন অনেকে। প্রথম দিন এই টিকা পাচ্ছেন ৩৬০ জন। টিকা নিতে প্রতিটি কেন্দ্রেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় ৫০ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন হলে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

একই সময়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অপরদিকে, সকাল দশটায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউটের পরিচালক ফারুক আহমেদ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউটের পরিচালক ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেও টিকা পাননি এমন ১১৫ জনকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। এই ১১৫ জনের মধ্যে যারা আসবেন তাদের সবাইকেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।

রোববার (২০ জুন) করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর চিকিৎসক মো. শামসুল হক বলেন, ফাইজারের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ৭ থেকে ১০ দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আমাদের হাতে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রায় এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে। যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে। এর আগে, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের উদ্বোধন করেন।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চীনের টিকা দিতে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থায় স্টুডেন্ট ভিসা চালু করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনা রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, চীনে ফিরে যেতে না পারলে তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পরবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বারবার আশ্বাস দিয়েও টিকার ব্যবস্থা করেনি আমাদের।